স্বাধীনতা দিবসের ২৪ ঘন্টা আগেই হুগলি জেলার চুঁচুড়া থানার পুলিশ কোদালিয়া মনস্তালায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে এবং আট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে মনস্তালায় সুকুমার মাঝি ওরফে সুকুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৯ এমএম পিস্তল, পাইপগানসহ ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি খালি ম্যাগাজিন ও ২০৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ২ কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে।
ধৃতদের নাম হীরালাল পাসওয়ান (হিরুয়া), সুজিত মন্ডল, সোমনাথ সরদার (জিতু), বিকাশ রাজভর, রবি পাসওয়ান (রাবিয়া), নীল পাসওয়ান, সুকুমার মাঝি (সুকু) এবং সৌমিত্র কর্মকার ওরফে ফাটা সহ মোট আটজন। রবিবার তাদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, হুগলির 'ডন' টোটন বিশ্বাস জেল থেকে নিজের আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন। শনিবার রাতে তার গোপন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হুগলির কুখ্যাত অপরাধী টোটনকে সম্প্রতি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এসময় টোটনকে গুলি করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এরপরই চন্দননগর পুলিশকে সতর্ক করা হয়। ওই ঘটনায় ডানকুনি থেকে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে টোটনের ভাই রূপচাঁদও রয়েছে।
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও কয়েকজন অপরাধীর সন্ধান পায়। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকায় টোটনের বাড়ি আছে। সহযোগীদের গ্রেফতারের পর এই চক্রের অন্য অপরাধীরা এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। চুঁচুড়ার কোদালিয়ায়ও কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। শনিবার রাতে মনস্তালার বাসিন্দা সুকুমার মাঝি ওরফে সুকুর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে চন্দননগর পুলিশ যখন টোটনকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর কার্বাইনের মতো আধুনিক অস্ত্রও পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment