বিজেপি কর্মীর গর্ভবতী স্ত্রীকে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীর নাম শিব শঙ্কর দাস। তিনি নারকেলডাঙার বাসিন্দা। তার স্ত্রীর পেটে বেশ কয়েকবার লাথি মারার কারণে তার ও সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অভিযোগ। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল এবং কাউন্সিলর পাপিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন সরকার সমর্থকদের শতাধিক।
শিবশঙ্কর দাস অভিযোগ করেছেন যে বেলেঘাটা তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের নির্দেশে কিছু প্রচারকারী তাঁর বাড়ি দখল করার চেষ্টা করেছিল। এ নিয়ে রবিবার তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করা হয়।
শিবশঙ্কর ও তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। অভিযোগকারী বলেন, থানায় জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি। যদিও তৃণমূলের দাবী, বাড়ি ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে লড়াই চলছে। এখানে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। নারকেলডাঙ্গার বাসিন্দা শিব শঙ্কর দাস (৪৬) বলেন, তিনি তার জমির একটি অংশ প্রোমোটারকে দিয়েছিলেন, কিন্তু দেড় বছর আগে প্রোমোটার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। শিবশঙ্কর বলেন, “স্থানীয় যুবক, আবার বিধায়ক পরেশ পালের লোক এসে বললেন দাদা ডাকছেন। আমি যেতে চাইনি। এরপর 150-200 ছেলে আমার বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারধর করে। আমার ছেলে, আমার স্ত্রী কাউকে ছাড়ে নি।"
শিবশঙ্করের অভিযোগ, তিনি নারকেলডাঙা থানায় গিয়েছিলেন, কিন্তু সাহায্য পাননি। উল্টো তাকে আইনি হেনস্তার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। রবিবার তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। শিবশঙ্কর জানান, পরে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ ও প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপ্না সমাদ্দার ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। স্বপন সমাদ্দার বলেন, “দীর্ঘ 20-25 বছর ধরে মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে লড়াই চলছে। আমি এখানে কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে দেখছি। স্থানীয় যে কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি তার সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরাও চাই সত্যটা সবার সামনে আসুক। যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।”
No comments:
Post a Comment