কেন্দ্রকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 5 August 2022

কেন্দ্রকে আক্রমণ রাহুল গান্ধীর!



ইডি-র পদক্ষেপের মধ্যেই দেশজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। দিল্লী-সহ সারা দেশে বিক্ষোভ করছেন কংগ্রেস নেতারা।  দিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত পদযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস।  এর আগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।  এ সময় রাহুল গান্ধী বলেন, "দেশের গণতন্ত্রের অবসান হতে দেখে কেমন লাগছে?  দেশে আজ গণতন্ত্র নেই।  দেশে আজ চারজনের একনায়কতন্ত্র।  আমরা মূল্যস্ফীতি, বেকারত্বের প্রসঙ্গ তুলতে চাই।  আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করতে চাই।  আমাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।  সংসদে কোনও আলোচনা নেই।  আমরা গ্রেফতার হই।  এই হল আজ ভারতের অবস্থা।" রাহুল বলেন যে "আমাদের 70 বছরের গণতন্ত্র 8 বছরে শেষ হয়েছে।"


 

 রাহুল গান্ধী আরও বলেন যে "গণতন্ত্রে যে বিরোধীরা লড়াই করে তারা সংস্থাগুলির শক্তিতে লড়াই করে।  দেশের বিচার বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বিরোধী দল।  কিন্তু আজ এসব প্রতিষ্ঠান সরকারকে সহযোগিতা করছে।  সরকার তার লোকজনকে এখানে বসিয়ে রেখেছে।  ভারতের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আজ স্বাধীন নয়।  আমরা কোনও একক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়ছি না, লড়াই করছি পুরো অবকাঠামো নিয়ে।"  রাহুল বলেন যে কেউ যদি বিরোধীদের সমর্থন করে তবে ইডি এবং সিবিআইকে তার পিছনে রাখা হয়।  যে কারণে বিরোধী দলের প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।


 

 মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, "অর্থমন্ত্রী জানেন না কেন মুদ্রাস্ফীতি দেখা যাচ্ছে না।  একটি বাস্তবতা এবং অন্যটি উপলব্ধি।  তারা বলে স্টার্টআপ ইন্ডিয়া আছে, বলুন কোথায় এই স্টার্টআপ ইন্ডিয়া।  তারা লোকদের বের করে দিচ্ছে।  এরা বলছেন, করোনায় কেউ মারা যায়নি।  জাতিসংঘ বলছে ৫০ লাখ মানুষ মারা গেছে, কিন্তু তারা বলছে এসব মিথ্যা।  বেকারত্ব প্রসঙ্গে সরকার বলছে, এর কোনও সত্যতা নেই।  তাদের হাতে সম্পূর্ণ যোগাযোগ কাঠামো রয়েছে।"



ইডি-র অ্যাকশন প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, "আমি যাই বলি না কেন, আমার বিরুদ্ধে তত বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  আমি ভীত নই। এখন আমার বিরুদ্ধে আরও হামলা হবে।  যে হুমকি দেয় সে ভয় পায়।  এই মানুষগুলো ভারতের অবস্থা দেখে ভয় পায়।  তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাতে ভয় পায়।  জনগণের শক্তিকে ভয় পায়।  মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের ভয়।  এই লোকেরা 24 ঘন্টা মিথ্যা কাজ করে।"



 রাহুল গান্ধী বলেন, "শুধুমাত্র কংগ্রেস নয়, কোনও অভিনেতা বা কোনও ব্যক্তি যদি দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তবে তার পিছনে পুরো সিস্টেমকে চাপ দেওয়া হয়।  ভারতে গণতন্ত্র শেষ।  এর ফল ভোগ করতে হবে।  ভারতের মানুষ চুপ করে বসে থাকবে না।" রাহুল বলেছিলেন যে হিটলারও নির্বাচনে জিতেছিলেন।  কারণ সব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই ছিল।



 এই সময়, সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন যে "দেশে সংবিধান উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।  দেশে ইডি সন্ত্রাসের পরিবেশ বিরাজ করছে।  দেশে একটা ভয়ংকর খেলা চলছে।  দেশের সংবাদমাধ্যমকে বুঝতে হবে সংবাদপত্রের ওপর হামলা চলছে, আগামীকাল তাদের ওপরও হামলা হতে পারে।  মিডিয়াকে আজ সাহস দেখাতে হবে।  আজ চুপ থাকলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad