রাস্তার পাশে নড়ছিল বস্তা, টান মারতেই বেরিয়ে এলেন জীবন্ত বৃদ্ধা

 রাস্তার পাশে একটি বড় বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন সাধারণ মানুষ। ওই বস্তার ভেতরে কিছু একটা নড়ছিল। বস্তাটি বেশ বড় ছিল। মুখ বাঁধা ছিল রশি দিয়ে। সেই রশি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ আশেপাশের লোকজনদের। বস্তায় ছিলেন আশি বছরের এক বৃদ্ধা। বৃদ্ধাকে বস্তায় বেঁধে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে।  যা দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।  শনিবার রাতে হুগলি জেলার চুঁচুড়া প্রিয়নগর এলাকায় জিটি রোডের পাশে ঘটনাটি ঘটে।  স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়।  পরে পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে যায়।

 প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চুঁচুড়া থানায় কর্মরত মহিলা পুলিশ অফিসার রাখি ঘোষের ছেলে প্রদীপ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।  এসময় স্থানীয় লোকজন বস্তা থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে।  সে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল।  তিনি ফোনে তার মাকে এ তথ্য জানান।

 

 স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃদ্ধার অবস্থা স্বাভাবিক ছিল।  প্রদীপ মহিলাকে একটি কেক কিনে মাকে ফোন করেন। তিনি তখন থানায় ডিউটিতে ছিলেন।  ছেলের ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।  সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান একাধিক পুলিশ আধিকারিক।  একজন মহিলা পুলিশ সদস্যও ওই অফিসারের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান।  প্রিয়নগরে পৌঁছে পুলিশ দেখে, বস্তায় পা দিয়ে বসে আছেন বৃদ্ধা।  ততক্ষণে তাকে ঘিরে ভিড় জমে গেছে।

পুলিশ বৃদ্ধাকে তার ধাম জিজ্ঞেস করলে হিন্দিভাষী বৃদ্ধা জানান, তার বাড়ি অশোকনগরে।  নাম আন্নু কুমারী।  তাকে ট্রেনে করে আনা হয়।  চুঁচুড়ার প্রিয়নগরে কীভাবে পৌঁছেছেন তা তিনি বলতে পারেননি।  কে এনেছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।  বাড়িতে কে কে আছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি।  পুলিশ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।  কীভাবে এই বৃদ্ধা এখানে এলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।