কয়লা কাণ্ডে রাজ্যের আটজন আইপিএস অফিসারকে তলব ইডির। সোমবার শীর্ষ আইপিএস অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংকে তলব করা হয়। এ দিন সকাল ১১টায় দিল্লীর ইডি অফিসে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাজির হননি। বাংলায় কয়লা পাচারের মামলার তদন্ত করছে ইডি। এই ক্ষেত্রে ইডি আধিকারিকরা তৃণমূল নেতা তথা সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এর আগে, ADG STF জ্ঞানবন্ত সিংকে ED দিল্লীতে তলব করেছিল। ইডি অফিসেও পৌঁছেছিলেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, কয়লা চোরাচালানের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঞ্জি ওরফে লালার নেতৃত্বে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে যখন কয়লা চোরাচালান পুরোদমে চলছে, তখন জ্ঞানবন্ত সিং এডিজি আইনশৃঙ্খলার পদে ছিলেন।
এডিজি আইনশৃঙ্খলার পদে থাকা সত্ত্বেও তার আমলে কীভাবে এভাবে কয়লা পাচার হয়েছে। এ প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত অনুপ মাঞ্জি ওরফে লালাকে জেরা করার পর তদন্তকারীদের কাছে জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপর তাকে তলব করা হয়। শুধু জ্ঞানবন্তই নয়, মোট আটজনকে তলব করেছে ইডি। তারা সবাই বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা কি কয়লা পাচারের কথা জানতেন? পুলিশ অফিসারদের সামনেই কিভাবে চোরাচালান হয়? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইডি যে আইপিএস অফিসারদের তলব করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে জ্ঞানবন্ত সিং, আইপিএস শ্যাম সিং, রাজীব মিশ্র, তথাগত বসু, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, এস সেলভামুরুগান এবং কোটেশ্বর রাও। তাদের কেউ সে সময় ডিআইজি, কেউ আইজি, কেউ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লীতে দুবার জেরা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় শুধু অভিষেকই নয়, কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তার স্ত্রী রুজিরাকেও। অন্যদিকে এ মামলায় ইসিএলের ৮ আধিকারিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে তারা অবৈধ কয়লা উত্তোলনের অনুমতি দিত বলে অভিযোগ রয়েছে।
No comments:
Post a Comment