বরখাস্ত বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সমর্থন করায় ২৩ বছর বয়সী যুবকের ওপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগ, ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবককে আক্রমণ করেছে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার কারজাত শহরের। আক্রান্ত প্রতীক পাওয়ার হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বর্তমানে একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আক্রান্তের কাকাতো ভাই প্রজ্যোত পাওয়ার জানান, প্রতীক একজন সমাজকর্মী এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ইত্যাদি লেখেন। তিনি উমেশ কোলহে এবং কানহাইয়া লাল সম্পর্কেও পোস্ট করেছিলেন। শুক্রবার তাঁকে একা পেয়ে ১৫-২০ জন লোক মারধর করে। তলোয়ার ও ছুরির মতো ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তিনি কানহাইয়া লাল এবং উমেশ কোলহে সম্পর্কে পোস্ট করায় এবং নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার জন্য হুমকিমূলক কলও পেয়েছিলেন বলে জানান প্রজ্যোত।
প্রজ্যোত এই মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। প্রজ্যোত বলেন, “প্রতীক গুরুতর আহত। আমরা সবাই চিন্তিত। আমরা চাই এই তদন্ত এনআইএ-র কাছে যাক।” এদিকে মহারাষ্ট্র পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
আহমেদনগরের পুলিশ সুপার মনোজ পাতিল বলেছেন, “এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতীক পাওয়ারকে আক্রমণ করার সময় অভিযুক্তদের কেউ কেউ বলেছিলেন যে, তিনি নূপুর শর্মাকে সমর্থন করেছিলেন।
এফআইআর-এ, অভিযোগকারী যিনি প্রতীক পাওয়ারের বন্ধু, বলেছেন, “আমরা ৪ আগস্ট একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ একটি ভিড় এল, যাতে ৭-৮ জন অচেনা এবং ৮জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাদের মধ্যে একজন আমাদের আক্রমণ করে প্রতীককে বলল, 'আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন যে আপনি নূপুর শর্মা, কানহাইয়া লালকে সমর্থন করেন এবং ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সম্পর্কিত তথ্য দিতে থাকেন, এর কারণে আরও অনেকে তার সমর্থনে দাঁড়াতে শুরু করেন। তোমার অবস্থাও আমরা উমেশ কোলহের মতো করে তুলব এবং তারপরে প্রতীককে তলোয়ার দিয়ে আক্রমণ করে।"
No comments:
Post a Comment