নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি হেফাজতে। কড়া ভাবে এই মামলার তদন্ত করছে ইডি। অর্পিতার পর এখন ইডি-র নজর পার্থের বাকি ঘনিষ্ঠদের দিকে। এতে মোনলিসা দাসের নাম সামনে এসেছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি পার্থের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন, প্রকাশ করেছিলেন, যে কোনও জেলায় যেখানে পার্থের সম্পত্তি আছে, তার অবশ্যই একজন বান্ধবী আছে।
বৈশাখী দাবী করেছেন, অর্পিতার চেয়েও বড় খেলোয়াড় মোনালিসা। বাংলাদেশের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই বিতর্কের মাঝেই, এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মোনালিসা দাস এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি সামনে এসেছে। যদিও ভাইরাল এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি প্রেসকার্ড নিউজ। তবে ছবি দেখে অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মোনালিসার একটি দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি নগদ, ৪ কোটি টাকার গয়না, ২০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পার্থ ও অর্পিতাকে ক্রমাগত জেরা করছে ইডি। অনেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এই মামলায় সামনে এসেছে নতুন নাম মোনালিসা দাসের। এর পর মোনালিসা দাসকেও রাডারে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মোনালিসা দাসের নামও বহুবার নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ কয়েকদিন আগে দাবী করেছিলেন যে, মোনালিসা দাস, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এবং তার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
তিনি দাবী করেছিলেন যে, মোনালিসা দাস পেশায় একজন অধ্যাপিকা এবং তার ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যদিও মোনালিস এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন। শুধু এই নয়, এও অভিযোগ রয়েছে, মোনালিসা দাসের বাংলাদেশের সঙ্গে কানেকশন রয়েছে। তিনি প্রায়ই বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করতেন। এভাবেই, প্রতিবেশী দেশে বারবার যাওয়ার কারণ কী? এরও তদন্ত হতে পারে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোনালিসা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি সামনে এল।
কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বীরভূমের শান্তিনিকেতনে মোনালিসার অনেক ফ্ল্যাট রয়েছে। এমনকি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও মোনালিসা দাসের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। এছাড়াও তার অধ্যাপিকা পদে নিয়োগের বিষয়েও প্রশ্ন উঠছে। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান মোনালিসা দাস। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তার সম্পর্ক কী, তা স্পষ্ট নয়।
বলা হচ্ছে, মোনালিসা আসানসোলের এসবি গোরাই রোডের বিবেকানন্দ পল্লির ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। এই ক্ষেত্রে, ইডি এখন এটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে, আর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও মোনালিসা দাসের কাছে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথা থেকে এল। এর পিছনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা আদৌ আছে কি? আর যদি থাকেও, তবে পার্থর ভূমিকা কতটা শক্তিশালী?
No comments:
Post a Comment