সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্টের জেরে চাকরি খোয়ালেন অধ্যাপিকা, এমনই অভিযোগ উঠল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অধ্যাপিকার অভিযোগ, যে প্রক্রিয়ায় তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল, তা ছিল যৌন হয়রানি এবং ইচ্ছাকৃত চরিত্র হনন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
অধ্যাপিকা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি যা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রের নজরে পড়ে। অভিযোগ, এরপরই ছবি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ওই ছাত্রের অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে দ্বারস্থ হন এবং তার ভিত্তিতেই অধ্যাপিকাকে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে বলে খবর সূত্রের।
জানা গিয়েছে ঘটনা একুশের অক্টোবরের। অধ্যাপিকা নিজের ইনস্টা প্রোফাইলে বিকিনি পরা একটি ছবি পোস্ট করেন। ব্যক্তিগত পরিসরে স্বজন-বন্ধুদের সঙ্গে নিজের ফটোশুটের ছবি শেয়ার করে নেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু এই ছবিই কাল হয়ে দাঁড়ায়। ছবিতে নজর যায় এক ছাত্রের। এরপর নজরে আসে তার অভিভাবকের। শুরু হয় বিতর্ক।
সদ্য কাজে যোগদানকারী অধ্যাপিকার এমন ছবি দেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তারা। উল্লেখ্য, ওই বছর আগস্টেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। 'সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তর্বাস পড়ে অধ্যাপিকা ছবি পোস্ট করা দৃষ্টিকটু ও অশালীন', এমনই উল্লেখ করা হয় ঐ অভিযোগপত্রে।
অধ্যাপিকার অভিযোগ এর ছেড়েই তার কাছে জবাবদিহি চেয়ে তাঁকে কাজে আসতে বারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন অধ্যাপিকা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তাদের দাবী ওই অধ্যাপিকা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন।
No comments:
Post a Comment