শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে খাবারের শৌখিন, তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু একজন ডায়াবেটিস রোগী হয়েও খাবারের প্রতি তার ভালোবাসা এবং নিত্যনতুন বায়নায় কার্যত তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। যতক্ষণ তিনি ইডি হেফাজতে ছিলেন, খাবারের জন্য তার অনুরোধ শুনে ইডি কর্তাদের চোখ কপালে উঠবার জো।
জানা যায়, মাঝে মাঝেই ভাত বা অন্য একাধিক পদ খাওয়ার বায়না ধরতেন পার্থ। বর্তমানে তিনি ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু কারা সূত্রে জানা গেছে, সেখানেও তার একই অভ্যাস রয়ে গেছে। চিকিৎসকের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পার্থ দুই সময়ই ভাত খাচ্ছেন।
সোমবার বিকেলে তিনি তেলভাজা (পকোড়া) চাইতে শুরু করেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের মতে, তিনি শহর ও শহর থেকে দূরে অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে পছন্দ করতেন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও লং ড্রাইভে তাঁর সঙ্গে থাকতেন। এমন পরিস্থিতিতে আন্দাজ করা যায় খাবার নিয়ে কতটা সিরিয়াস হবেন তিনি।
সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধু ভাত, ডাল ও সবজিই খান। তারপর ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে ওঠার পর তেলেভাজা খেতে চান তিনি। তাঁর আবদারের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধনাগারের ক্যান্টিন থেকে আলুর চপ দিয়ে সন্তুষ্ট করা হয়। তবে এর আগে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আলুর চপ খেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু, প্রাক্তন মন্ত্রী একপ্রকার জেদ ধরে বসেন। এরপর জেলের ক্যান্টিন থেকে তার জন্য আলুর চপ ও কাটলেট অর্ডার দিয়ে আনানো হয়।
উল্লেখ্য, পার্থকে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে। তাঁর জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করা হবে না, বলে আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিল কারা বিভাগ। তাকে সাধারণ বন্দীর মতো রাখা হয়েছে। কিন্তু শারীরিকভাবে পার্থ খুব একটা সুস্থ নয়। তাই চিকিৎসকদের নির্দেশে তাদের জন্য খাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সকালে তিনি চা ও ব্রেড টোস্ট খাচ্ছেন। তাঁর জন্য এখনও ভাত প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাঁর চাহিদা অনুযায়ী দিনে দুবার ভাত দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। তবে খাওয়ার পর তাঁর নিজের বাসন তাঁকেই ধুতে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment