ইডি হেফাজতের পর, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন, তবে সেখানেও তিনি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। জেলে প্রথম রাতে তাকে মেঝেতে ঘুমাতে দেওয়া হয়, যার জেরে পার্থ সারা রাত জেগে কাটিয়েছেন। অবশেষে জেলে ঘুমানোর জন্য খাট পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে নেওয়ার পর পার্থকে বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে রাখা হয়। সেই ছোট সেলে অন্য বন্দীদের মতো ঘুমানোর জন্য পার্থ চারটি কম্বল পেলেও ওই রাতে প্রাক্তন মন্ত্রী সেই বিছানায় ঘুমাননি এবং এখন জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা ফোলার সমস্যা বাড়ছে। জেলের চিকিৎসকরা এ বিষয়ে নজর রাখছেন। তবে তাকে এখনই জেল হাসপাতালে রাখার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
জেল সূত্রে জানা গেছে, স্থূলতার কারণে পার্থের মাটিতে বসতে অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু সেলে বিছানা তো দূরের কথা, একটি চেয়ারও ছিল না, তবে সেলের ওয়াশরুমে একটি কমোড ছিল। সূত্রের খবর, প্রাক্তন মন্ত্রী তার প্রথম রাত জেলে সেই কমোডে বসেই কাটিয়েছেন। এ কারণে তার পায়ের ফোলা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জেল সূত্রে জানা গেছে, সকালে জলখাবার সেরে মাত্র একবার সেল থেকে বেরিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর কারাগারের চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করতে আসলে পার্থ চিকিৎসকদের জানান, তিনি রাতে ঘুমাতে পারেন না। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে পা ফুলে গেলেও তাকে কারা হাসপাতালে রাখার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল। সেই বন্দীর নম্বর 943799। কারা সূত্রে জানা গেছে, তিনি নীরব। কারও সাথে এভাবে কথা বলতে চাইছেন না। তার শারীরিক অবস্থা সাধারণত ভালো থাকলেও সূত্রের খবর, তার পা ফুলে গেছে। জেল প্রশাসন বিষয়টি তদারকি করছে।
জেলে বাড়তি কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 'কমন টয়লেট' ব্যবহার করতে হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাতে রুটি, ডাল এবং তরকারি খেয়েছিলেন। কারা সূত্রে জানা গেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। সকালের জলখাবার খেয়েছেন। পার্থ যে সেল আছে সেখান থেকে টিভি অনেক দূরে। এমন অবস্থায় টিভি দেখার সুযোগ নেই। তবে সূত্রের খবর, পার্থ বই ও খবরের কাগজ পড়েছেন। রবিবার দুপুরেও কারাগারে সাধারণ খাবার পরিবেশন করা হবে। সূত্রের খবর, তিনিও তাই খাবেন।
No comments:
Post a Comment