'তৃণমূলের সমালোচকদের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরী হবে, এই দিন অপেক্ষা করছে', এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়। রবিবার কামারহাটিতে দলের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় একথা বলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শোরগোল। তোপ দেগেছেন বিরোধীরাও।
সৌগত বলেন "যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরী হবে এই দিন অপেক্ষা করছে।" তিনি বলেন, "তৃণমূল কিন্তু রাস্তায় আছে, আমরা কোনও দোষ করিনি যে, আমাদের ঘরে ঢুকে যেতে হবে।
সেই সঙ্গেই সাংসদ বলেন, "বিজেপি, সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, 'কামারহাটিতে তৃণমূলের সব চোর' বলে মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এমন ব্যবস্থা নেব, যে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে। সাবধান থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, 'দুর্নীতি থেকে আমরা দলকে আলাদা করছি কিন্তু নিরপেক্ষ তদন্ত যদি না হয়, শাসকদল আবার রাস্তায় নামবে। ইডি, সিবিআইয়ের কলকাতার অফিস অবরুদ্ধ করে দেব।'
সৌগতর সংযোজন, "আমি দেখছি সিপিএম, বিজেপির পাখা গজিয়েছে। তারা বলছে তৃণমূলের সবাই চোর। আমরা তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি তৃণমূল সবাইকে যদি তারা চোর বলে এরপর যদি তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির ওই সব কর্মীকে তাড়া করে তাদের অফিসে ঢুকিয়ে দেয় এবং সিপিএমের পার্টি অফিস যদি বন্ধ করে দেয়... তখন কেউ বলতে পারবে না যে, আমরা অন্যায় করছি।"
সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। পাল্টা কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'প্রচারের আলোয় আসার জন্য সৌগত বাবু এসব কথা বলেছেন।'
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি ও গরু পাচার মামলায় দলের দুই হেভিওয়েট ইডি ও সিবিআই হেফাজতে। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নিলেও অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে এমন কোনও পথে হাঁটেনি রাজ্যের শাসক শিবির। পাল্টা, অনুব্রত গ্ৰেফতার হতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। সেইসঙ্গে তৃণমূলের বড়-ছোট নেতারাও একের পর এক সুর চড়িয়েছেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে। অনুব্রতর পথে হেঁটে হুমকিমূলক বার্তা দিতেও শোনা গিয়েছে কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে। এবার সেই তালিকায় জুড়ল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের নাম। দলীয় সভায় ভাষণ দিয়ে সৌগত রায়ের গলাতেও শোনা গেল 'কেষ্ট' সুর।
No comments:
Post a Comment