কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে শুক্রবার ও শনিবার বিকেল ৩টায় রাস্তায় নামবে তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি। নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সময় চলছে। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর এই দাবী করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে ন্যায্যতার দাবীতে রাজপথে নামতে চলেছে তৃণমূল। শুক্রবার থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। দলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা জেলায় প্রতিবাদ মিছিল করবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচারের মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। অনুব্রত ইস্যুতে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির। দলের তরফে চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতেই তৃণমূল বিক্ষোভ করবে। শুক্রবার ও শনিবার বিকেল ৩টা থেকে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিন চন্দ্রিমা দাবী করেন, কেন্দ্রে শাসক দলের সঙ্গে থাকলে নেতারা ছাড় পাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথা উল্লেখ করেন। চন্দ্রিমা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও বিজেপির সাথে হাত মেলানোর পরে আর কোনও তদন্ত হয়নি। এ ছাড়া তিনি এদিন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথাও উল্লেখ করেন। শারদা মামলায় শুভেন্দু বা তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হচ্ছে না? এ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, "আমাদের ক্ষেত্রে ছোটখাটো অভিযোগও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ঝাঁপিয়ে পড়ছে।"
চন্দ্রিমার দাবী, বিচার ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ আস্থা থাকলেও ইডি বা সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলিকে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়৷ কারণ তৃণমূল মনে করে ওই সব সংগঠনেই রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। তিনি আরও বলেন, "তদন্তকারী সংস্থার ভিতরের খবর স্থানীয় বিজেপি নেতারা জানতে পারলেন কী করে? শুভেন্দু যদি সবই জানত, তাহলে সে বলল না কেন?"
No comments:
Post a Comment