ভারতে খুব কমই এমন কোনো বাড়ি থাকবে যেখানে দুধ ও হলুদ খাওয়া হয় না। দুধকে সম্পূর্ণ খাদ্য বলা হয়, কারণ এতে প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একই সময়ে, মশলা হিসাবে হলুদ বেশি ব্যবহার করা হত, তবে যখনই আঘাত, প্রদাহের সমস্যা হয়, হলুদ একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহার করা হয়, কারণ এর নিরাময় ক্ষমতা ভাল। হলুদ ও দুধ মিশিয়ে পান করার প্রবণতা বেশ বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এটি ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ একটি পানীয়, তবে এটি ক্ষতির কারণও হতে পারে।
হলুদ ও দুধ পানের অপকারিতা
গর্ভাবস্থা থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন,
হলুদের প্রভাব গরম, তাই পেটে তাপ সৃষ্টি করে। গর্ভবতী মহিলাদের এটি এড়ানো উচিত কারণ এটি গর্ভপাত হতে পারে।
লিভারের দুর্বলতা
: হলুদের দুধ পান করলে লিভারের অনেক ক্ষতি হতে পারে কারণ গরম জিনিস এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের জন্য ভালো নয়। লিভার দুর্বল হলে শরীরও নানাভাবে অসহায় হয়ে পড়ে।
পেটের সমস্যা
আপনি যদি দিনে এক চা চামচের বেশি হলুদ খান, তাহলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা হতে শুরু করবে। যাদের পাথরের সমস্যা আছে তাদের হলুদ দুধ পান করা উচিত নয়। এই মশলায় উপস্থিত অক্সালেট ক্যালসিয়ামকে দ্রবীভূত করতে দেয় না, যা কিডনিতে পাথরের দিকে পরিচালিত করে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের মৌসুমে হলুদের ব্যবহার ন্যূনতম রাখতে হবে।
ডায়াবেটিসে সমস্যা
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার-দাবারে বিশেষ নজর দিতে হয়, তা না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং সব ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। হলুদকে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ক্ষতিকর বলে মনে করা হয় কারণ এটি খেলে নাক থেকে রক্ত পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
No comments:
Post a Comment