সারাদেশে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে তেরঙ্গা লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে শনিবার সকালে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রওনা দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তাঁর লক্ষ্য ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুভাষ সরকার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতে পারেননি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করেই ফিরে যেতে হয়। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই জাতীয় অনুষ্ঠানের জন্য কোনও অনুমোদন পায়নি। এ কারণে তাকে কর্মসূচি পালনে বাঁধা দেওয়া হয়।
এদিকে আজাদির অমৃত মহোৎসবের কর্মসূচি পালন করতে না পারায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রবেশ করতে না পেরে সুভাষ সরকার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতর্ক করেছেন যে, তিনি লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে জানাবেন।
তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত দেশের মন্ত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। এটি একটি সরকারি কর্মসূচি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের এ তথ্য জানানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মুখ্য সচিবকে একটি চিঠিও লেখা হয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার নীরবতা পালন করেছে এবং এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা এখানে আসেনি। তাই তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার স্বাধীনতা দিবস পালনেও উদাসীন।'
এ বিষয়ে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও মুখ খুলতে চাননি কারা কর্তৃপক্ষ। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “সবকিছুর একটা ব্যবস্থা আছে। প্রটোকল আছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়তো তা জানাননি।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে তেরঙ্গা যাত্রা বের করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাকে অনুমতি দেয়নি। এর বিরুদ্ধে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগ করেছেন এবং আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment