এ বছর দুর্গা পূজা কমিটিগুলিকে 60,000 টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার। গত বছর এটি ছিল 50,000 টাকা। এতে 10 হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুর্গা পূজা কমিটিগুলি বিদ্যুৎ খরচে 60 শতাংশ ছাড় পাবে। আগে ছিল 50 শতাংশ। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার ফায়ার ইঞ্জিন ও বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা নেয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউনেস্কোকেও ধন্যবাদ জানিয়ে 1 সেপ্টেম্বর মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই শোভাযাত্রায় সকল ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করবে এবং কলকাতার দুর্গা পূজাকে ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানো হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেউ কেউ বলছেন কলকাতায় দুর্গা পূজা হয় না। কলকাতায় যেভাবে দুর্গা পূজা হয়, দেশের কোথাও হয় না। এক বছর ধরে চলে কলকাতা দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। এখন থিম পূজা। এর জন্য একটি নির্যাস প্রয়োজন। বাংলায় 43 হাজার নিবন্ধিত পূজা কমিটি রয়েছে। এর বাইরেও অনেকে পুজো করেন। কলকাতা পুলিশ এলাকায় 2700টি পুজো রয়েছে।
তিনি জানান, আগামী 1 সেপ্টেম্বর থেকে বাংলায় পূজা শুরু হবে। এদিন শোভাযাত্রা বের করা হবে। কে বের করবে শ্রেষ্ঠ মিছিল? এ জন্য প্রতিযোগিতা হবে। শোভাযাত্রায় সব ধর্মের মানুষ অংশ নেবেন। সেপ্টেম্বরের মিছিলে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাবে। দুপুর 2টায় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে মানুষ জড়ো হবে এবং শঙ্খ ফুঁ, ঢোল বাজিয়ে গান গেয়ে শোভাযাত্রা বের হবে রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত। ওই দিন যদি স্কুলে অর্ধেক দিন ক্লাস থাকে এবং অফিসও অর্ধেক দিন খোলা থাকে, তাহলে লোকজন আসতে পারবে। এতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির 10 হাজার শিক্ষার্থীও অংশগ্রহণ করবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 1 সেপ্টেম্বর কলকাতায় মিছিল বের করা হবে। এর পাশাপাশি সব জেলায় সমানভাবে শোভাযাত্রা বের করা হবে এবং ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানানো হবে। তিনি জানান, 5 অক্টোবর থেকে 7 অক্টোবর পর্যন্ত পূজার বিসর্জন হবে। 7 অক্টোবর জেলায় একটি পূজা কর্নওয়াল এবং 8 অক্টোবর কলকাতায় একটি পূজা কর্নওয়ালের আয়োজন করা হবে। 30 সেপ্টেম্বর থেকে 10 অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি অফিসে ছুটি থাকবে। 24 অক্টোবর এবং 25 অক্টোবর কালী পূজার ছুটি থাকবে।
No comments:
Post a Comment