পার্থকে জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন, 'মহিষাসুরমর্দিনী' নাম দিল বিজেপি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 3 August 2022

পার্থকে জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন, 'মহিষাসুরমর্দিনী' নাম দিল বিজেপি



শিরোনামে রয়েছেন বরখাস্ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর "চপ্পল" ছুঁড়ে মারা মহিলা।  মঙ্গলবার যখন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।  ওই সময় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছানো ওই নারী ঘটনার পর মঙ্গলবার খালি পায়ে বাড়ি চলে যান।  প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।  এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে একজন মহিলা তাকে চপ্পল ছুঁড়ে পারেন। মহিলাকে 'মহিষাসুরমর্দিনী'র সঙ্গে তুলনা করেছে বিজেপি।  বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়।



 

যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে চপ্পল ছুঁড়ে মারে তার নাম শুভ্রা ঘোডুই। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলার বাসিন্দা।  সেখান থেকে জোকা হাসপাতাল বেশি দূরে নয়।




অমিত মালভিয়া ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেন যাতে ওই মহিলাকে ঘটনার পর খালি পায়ে বাড়ি যেতে দেখা যায়।  তিনি ট্যুইট করেন, "মমতা সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রতীক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে জুতা ছুঁড়ে খালি পায়ে হাঁটছেন এই মহিলা, তৃণমূলের অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিরোধের প্রতীক৷  এই প্রকৃত রূপ মহিষাসুরমর্দিনী, তারা মমতাকে শক্তিহীন করবে।"


 

 মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  সেখানে ওই মহিলা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে চপ্পল ছুঁড়ে মারে, কিন্তু চপ্পল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গায়ে লাগেনি, গাড়ির ছাদে পড়ে যায়।  ১৫ বছর আগে ওই মহিলার বিয়ে হয়।  তার স্বামী স্থানীয় একটি প্লাইউড কারখানায় কাজ করেন।  দম্পতির একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।  সে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।  



কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে চপ্পল ছুড়েছেন জানতে চাইলে।  ওই মহিলা বলেন, পার্থের মতো নেতার কোটি কোটি টাকা আছে।  তিনি অনেক ফ্ল্যাট কিনেছেন।  এসি গাড়িতে হাসপাতালে আসছে।  এ কারণে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  মহিলা তার হতাশা প্রকাশ করেছেন যে চপ্পল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আঘাত করেনি।  তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গায়ে চপ্পল লাগলে আমি শান্তি পেতাম।"  মহিলার প্রতিবেশী বলেন, "তিনি খুব কমই বাড়ির বাইরে যান।  রাজনীতির সাথে তার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি তাকে কখনও কারও সাথে ঝগড়া করতে দেখিনি।"


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad