প্রবল অর্থ কষ্টে ভুগছেন! তাহলে আজই শুরু করুন বাস্তুর এই উপায়

অনেকে পরিশ্রম করেও টাকা জোগাড় করতে পারছেন না।  প্রায়শই অর্থের অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের পিছনে কারণও বাস্তু ত্রুটি।  বাস্তু দোষ থেকে মুক্তি পেতে বাস্তুশাস্ত্রে প্রতিকার দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেক মানুষই তার বাড়িতে মা লক্ষ্মীর অধিবাস চায়।  বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে উত্তর দিককে সম্পদের দেবতা কুবেরের দিক বলে মনে করা হয়।  এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিকটি পরিষ্কার রাখলে ঘরে দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস হয়।  অর্থলাভ সংক্রান্ত কিছু বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তুশাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে।  আপনার যদি টাকাও না থাকে এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যায় পড়েন, তাহলে এই বাস্তু প্রতিকারগুলি চেষ্টা করুন-

1. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে প্রতিদিন সকালে বাড়ির জানালা-দরজা খুলে দিতে হবে।  বাস্তু মতে, এটি করলে ঘরে পজিটিভ এনার্জি বাস করে এবং অর্থ আসে।

 2. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শঙ্খ মা লক্ষ্মীর সাথে সম্পর্কিত।  এমন অবস্থায় পূজার স্থানে অবশ্যই শঙ্খ রাখতে হবে।  সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর পাশাপাশি প্রতিদিন শঙ্খের পূজা করুন।

 3. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, টাকা পাওয়ার জন্য মানুষের সবসময় ঝাড়ু লুকিয়ে রাখা উচিত।  ঝাড়ুটি মা লক্ষ্মীর সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।  তাই এটিকে কখনোই এখানে-সেখানে ফেলবেন না বা পায়ের নিচে আসতে দেবেন না। 

 

4. ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, পিপল গাছে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন।  এমন অবস্থায় প্রতিদিন গোসলের পর পিপল গাছে জল দিতে হবে।  এমনটি করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন বলে বিশ্বাস করা হয়।

 5. বাস্তু অনুসারে, আর্থিক সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে, ফিটকিরি একটি পাত্রে এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে কেউ দেখতে পাবে না।  এর পাশাপাশি প্রতিদিন পানিতে এক টুকরো ফিটকিরি রেখে গোসল করাতে হবে।  এতে করে অর্থের অভাব দূর হয় বলে মনে করা হয়।

 6. বাস্তু অনুসারে, মা লক্ষ্মী পরিচ্ছন্নতায় থাকেন।  এমন অবস্থায় ভুলেও ঘর নোংরা করা উচিত নয়।  এতে করে ঘরে সমৃদ্ধি আসে না।

7. বাস্তু অনুসারে, পূজাস্থলে চালের স্তূপে মা অন্নপূর্ণার পূজা করুন এবং প্রতিদিন তার পূজা করুন।  এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মা অন্নপূর্ণার আরাধনা করলে ঘরে সবসময় অন্ন ও অর্থের মজুত থাকে।