বায়োফ্লক প্রযুক্তি একটি আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। মাছ চাষের এই কৌশল অবলম্বন করা গেলে জেলেরা শুধু নীল বিপ্লবের রক্ষকই হবে না, বেকারত্ব থেকেও মুক্ত হবে। বায়োফ্লক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা পুকুর খনন না করেই পুকুরে মাছ চাষ করতে পারবে। সর্বশেষ প্রযুক্তি মাছ ও চিংড়ি উৎপাদন বাড়ায়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তির একটি ছোট প্লট (১৫০ থেকে ২০০ বর্গ মিটার জমির সমপরিমাণ) রয়েছে, তিনি পৌরসভার পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করে অল্প বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই নতুন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল মাছ চাষীদের পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের আয় উপার্জন এবং জীবিকা অর্জনে সহায়তা করা।
বায়োফ্লক প্রযুক্তি স্থানীয় বাজারের চাহিদার উপর নির্ভর করে তেলাপিয়া, পাঙ্গাসিয়াস, ক্যাটফিশ, কমন কার্প, আনাবাস ইত্যাদি স্বাদু জলের মাছের জন্যও উপযুক্ত। বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে, জৈব পদার্থ যেমন ফিড বর্জ্য, প্রোবায়োটিক ইত্যাদি ট্যাঙ্কে মাছের খাদ্যে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রযুক্তির সাহায্যে প্রায় ছয় মাসে (পালন) ১০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক (একবার খরচ ৩২ হাজার টাকা, ৫ বছরের জন্য) উৎপাদনের পাশাপাশি ৩.৪ কুইন্টাল মাছ (মূল্য ৪০ হাজার) উৎপাদন করা সম্ভব। খরচ ২৪ হাজার টাকা। দামি মাছ উৎপাদন করলে এই লাভ সাড়ে চার গুণ বেশি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment