বুধবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি লেখেন, "কি মিষ্টি কাকতালীয় ব্যাপার! বোলপুরের যে ব্যাংকে আজ আগুন লাগল, সেই ব্যাঙ্কেই নাকি ইডির নজর ছিল, যেহেতু কেষ্ট বাবুর বাড়ির সদস্য তথা ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট নাকি ওই ব্যাঙ্কে ছিল! তার মানে বীরভূমের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে আগুন লাগতে পারে।'
উল্লেখ্য, বুধবার বেলা প্রায় ১২ টা নাগাদ বোলপুরের শান্তিনিকেতন রোডে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকরা কোনও ক্রমে ব্যাঙ্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের দুটি ইঞ্জিনে এসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। পৌঁছে যান বোলপুর থানার পুলিশ আধিকারিকও।
জানা গিয়েছে, বোলপুরের শান্তিনিকেতন রোডের এই ব্যাঙ্কেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, তার মেয়ে সুকন্যা সহ অন্য আত্মীয়ের অ্যাকাউন্ট ও ফিক্সড ডিপোজিট ছিল। তথ্যের সন্ধানে ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা সেখানে কয়েকবার হানা দেন বলেও জানা গিয়েছে। ফলত সিবিআই তল্লাশির মাঝে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলতেই এই অগ্নিকাণ্ড? সেই প্রশ্নও উঠে আসছে।
একই ভাবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। এমনকি তাঁর আশঙ্কা এই ধরণের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
এদিকে কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলেই জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক।
No comments:
Post a Comment