তৃণমূলে কংগ্রেস কখনই এই ধরণের ছ্যাবলামি সমর্থন করে না', মদন মিত্রর তর্পণ কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ হাকিমের। সোমবার হাওড়া ফুল বাজারের উদ্বোধনে এসে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'অন্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে মত পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সবারই দীর্ঘ জীবন কামনা করি আমরা। জীবিত ব্যক্তির নামে তো তর্পণ হয় না। এটা নিয়ে যদি কেউ খেলা করে থাকে, তবে তা অন্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস কখনই এই ধরণের ছ্যাবলামি সমর্থন করে না।' উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা দিয়ে তর্পণ করে বিতর্কে জড়ান মদন মিত্র। বিরোধী দলের পাশাপাশি শাসক শিবিরেও এই নিয়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। এদিন ফিরহাদের গলাতেও শোনা গেল একই সুর।
এর পাশাপাশি তিনি জানান, ইতিমধ্যে তাঁদের দফতর থেকে জেলা শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাওড়া পৌর নিগমের ৫০ টি ওয়ার্ডকে পুনঃবিন্যাস করার জন্য। যদিও বর্তমানে হাওড়া পৌর নিগমের অন্তরভূক্ত মোট ৬৬ টি ওয়ার্ড। যার মধ্যে রয়েছে পূর্বতন বালি পৌরসভার ২৬ টি ওয়ার্ড।
সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী কোনও কথা না বললেও তিনি জানান, নির্বাচন কবে হবে সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আর জেলা শাসকের নেতৃত্বে পুনঃবিন্যাসের কাজ শেষ হলে নগরান্নয়ন দফতর থেকে তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছেন বলেই জানান মন্ত্রী। তার আগে এটা নিয়ে বলা সম্ভব হবে না।
মন্ত্রী আরও জানান, যত ছোট ওয়ার্ড হবে পরিষেবা দিতে ততো সুবিধা হবে। তিনি পূর্ববর্তী রাজ্যপালের আপত্তির প্রসঙ্গ তুলে জানান, তখন রাজ্যপাল সম্মতি জানান নি। তবে বর্তমান রাজ্যপাল হাওড়া পৌরসভা পৃথকীকরণ বিলে সই না করার প্রসঙ্গটি সচেতনভাবেই এড়িয়ে যান তিনি।
এছাড়াও উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজার বিষয়ে তিনি বলেন, 'দল সবাইকে সবকিছু দিতে পারে না। ওকে বিধায়ক করেছে দল। সমীর দলের খুব প্ৰিয় লড়াকু নেতা। তাই সে আগামীদিনেও দলের সঙ্গেই থাকবে বলেই দাবী করেন তিনি।
এর পাশাপাশি ডেঙ্গি পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, মানুষ আরও সচেতন হলে তাঁরা ডেঙ্গিকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারবে। সেইসঙ্গে, সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে এক লক্ষ কোটি টাকা রাজ্যের প্রাপ্য বলেই দাবী করেন মন্ত্রী।
No comments:
Post a Comment