নবরাত্রি: মা শৈলপুত্রীর কাহিনী - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 26 September 2022

নবরাত্রি: মা শৈলপুত্রীর কাহিনী


নবরাত্রির ৯ দিনে মা দুর্গার ৯টি রূপের পূজা করা হয়।  নবরাত্রির প্রথম দিনটি মা শৈলপুত্রীকে উৎসর্গ করা হয়।  মা শৈলপুত্রী হিমালয়রাজের কন্যা। মা দুর্গার ৯টি রূপ একজন ব্যক্তিকে জীবনযাপন করতে শেখায়। শৈল মানে পাথর বা পাহাড়। প্রথম দিনে মা শৈলপুত্রীর পূজা করা হয়, যাতে একজন ব্যক্তি মা শৈলপুত্রীর নামের মতো জীবনে স্থির থাকে। আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য জীবনে দৃঢ় থাকা প্রয়োজন, যা আমরা মা শৈলপুত্রীর আরাধনা থেকে পাই।


উল্লেখ্য, নবরাত্রির দিন কলশ প্রতিষ্ঠার পর দেবী শৈলপুত্রীর পূজা করা হয় এবং দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করা হয়। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, কলশকে ভগবান গণেশের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যে কোনও শুভ কাজ যেমন গণেশ জি'র পুজো দিয়ে শুরু হয়, তেমনই পুজো শুরু হয় কলশ পুজো দিয়ে। নবরাত্রির প্রথম দিনে কলশ স্থাপনের পর মা শৈলপুত্রীর এই গল্প শুনলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং মা শৈলপুত্রীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।


জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে মা শৈলপুত্রীর বাহন হল বৃষভ।  মা শৈলপুত্রী হিমালয়রাজ পর্বতের কন্যা। একবার প্রজাপতি দক্ষ (সতীর পিতা) যজ্ঞের সময় ভগবান শিব এবং সতী ছাড়া সমস্ত দেবতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সতী ডাক না পেয়েও যজ্ঞে যেতে প্রস্তুত হলেন। তখন ভগবান শিব তাঁকে বুঝিয়ে বলেন,  না ডাকলে এভাবে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু সতী রাজি হননি। এমন অবস্থায় ভগবান শিবও সতীর হঠকারিতার সামনে হার মানেন।


সেখানে সতীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। মা ছাড়া কেউ সতীর সাথে ঠিকমতো কথা বলতেন না। শুধু তাই নয়, সতীর বোনেরাও যজ্ঞে তাকে উপহাস করতে থাকে।  সতী তার স্বামীর প্রতি এমন রূঢ় আচরণ ও অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্রোধে যজ্ঞের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে ফেলেন। ভগবান শিব এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই তার গণদের দক্ষর ওখানে পাঠিয়ে যজ্ঞ ধ্বংস করেন।  শাস্ত্র অনুসারে, পরের জন্মে সতী হিমালয়ের কন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার নাম রাখা হয় শৈলপুত্রী।  তাই নবরাত্রির আগে মা শৈলপুত্রীর পূজা করা হয়।


জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, মা শৈলপুত্রীর কাছে সাদা রঙ খুব প্রিয়। তাই পূজার সময় সাদা রঙের জিনিস, বরফি ইত্যাদই তাঁকে নিবেদন করা হয়।  পূজায় সাদা রঙের ফুল দেওয়া হয়। পূজার সময় সাদা রঙের পোশাক পরলে উপকার পাওয়া যায়। এই দিনে জীবনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে একটি পানে লবঙ্গ, সুপারি ও মিছরি নিবেদন করলে সব সমস্যার অবসান হয়।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad