তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না, তাহলে রাজ্যে ক্ষমতা গ্রহণের পরে কিছু সিপিআই-এম নেতাকে জেলে পাঠানোর পর্যাপ্ত আধার তাঁর কাছে ছিল। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'-এর উত্সব সংস্করণ প্রকাশ করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিংয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে, বহিরাগতদের রাজ্য সম্পর্কে প্রচার ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "যখন আমি দিল্লীতে যাই, আমি মাঝে মাঝে বিব্রত বোধ করি যখন জানা যায় যে কিছু লোক কীভাবে বাংলাকে অপমান করার জন্য মিথ্যা ছড়াচ্ছে এবং কীভাবে তারা রাজ্যের মানহানি করছে।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, এই লোকেরা তাঁর সরকারের স্বীকৃতি এবং অর্জন হজম করতে অক্ষম। বিরোধী সিপিআই(এম) কে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, নাহলে সিপিআই(এম) নেতাদের জেলে পাঠানোর যথেষ্ট কারণ ছিল। তৃণমূলের সবাই খারাপ আর আপনার দলের (সিপিআই-এম) সবাই ভালো? আপনার চোখের উপর এতগুলোও পট্টি বেঁধে রাখবেন না।"
তিনি বলেন যে, তাঁর বা তাঁর দলের নেতাদের একটি বিশেষ মন্তব্য তুলে নেওয়া হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়। মমতা আরও বলেন, 'কিছু বহিরাগতকে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। এটা আমাদের রাজ্যের সংস্কৃতি নয়।'
মমতার এই মন্তব্যের পাল্টা সিপিআই(এম) বলে, একের পর এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা দুর্নীতির মামলায় জেলে যাচ্ছেন। সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতাশ। বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনে তিনি কোনও অন্যায় খুঁজে পাননি। দুর্নীতির অভিযোগে তার দলের নেতাকর্মীরা কীভাবে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন, তা সবাই জানে।' তিনি বলেন, টিএমসি নেতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এতে তিনি হতাশ হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করছেন।'
No comments:
Post a Comment