নবজাতক শিশুর ত্বক অনেক কোমল হয় তাই এর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। তেল মালিশ করলে আপনার প্রিয়তমার ত্বকের সমস্যা হয় না। বাজারে অনেক ধরনের তেল পাওয়া গেলেও শিশুর মালিশের জন্য অলিভ অয়েলের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
অলিভ অয়েল প্রতিটি ঋতুতেই উপকারী:
বিশেষ বিষয় হল আপনি প্রতি মৌসুমে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শুধু মনে রাখতে হবে গ্রীষ্মকালে তেল কম খাওয়া উচিত এবং শীতকালে একটু বেশি পরিমাণে নিতে পারেন কারণ এই সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
1. ত্বক ময়শ্চারাইজ করুন
শিশুর ত্বক খুব নরম এবং জলপাই তেল ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। তাই এই তেল দিয়ে মালিশ করলে শিশুর ত্বক নরম ও কোমল থাকে।
2. ত্বকে পুষ্টি যোগায়
অলিভ অয়েলে রয়েছে স্কোয়ালিন, যা একটি হাইড্রেটিং এজেন্ট, যা আপনার শিশুর ত্বককে নরম ও পুষ্ট রাখতে সাহায্য করে।
3. ডায়াপার ফুসকুড়ি পরিত্রাণ পেতে
বর্তমানে শিশুদের ডায়াপার পরার কারণে র্যাশের সমস্যা দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াপার র্যাশের ঘরোয়া উপায় হিসেবে অলিভ অয়েল নিতে পারেন। এ জন্য প্রথমে শিশুর ফুসকুড়ি অংশে হালকা গরম অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন। এর ফলে শিশুর শরীরে কোনো ফুসকুড়ি থাকবে না।
4. ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। এর ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হয়। শিশুদের ভালো ঘুমের জন্য অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
5. চুলের জন্য উপকারী
অলিভ অয়েলে ভিটামিন ই পাওয়া যায়, যার সাহায্যে শিশুদের চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। চুল নরম ও সুন্দর থাকে। এই তেল শিশুর চুলে লাগিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন।
এসব বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিন
শিশুর কোনো ধরনের অ্যালার্জি থাকলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন না।
এই তেল ব্যবহার করে যদি শরীরে ফুসকুড়ি আসতে শুরু করে তাহলে ব্যবহার বন্ধ করে দিন।
এছাড়াও আপনি কোন প্রকার ভেজাল অলিভ অয়েল ব্যবহার করছেন না তা নিশ্চিত করুন।
No comments:
Post a Comment