পরিবারের পিতৃ পুরুষদের তৃপ্ত রাখতে হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে চলছে তর্পণ। মহালয়ার দিনে নির্দিষ্ট মন্ত্রোচ্চারণে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষে পূর্বপুরুষদের তর্পণ করার প্রথা প্রচলিত আছে। আশ্বিন মাসের অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কাল পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত। এদিকে তর্পণের জন্য আসা সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত কড়া নজরদারি ব্যবস্থাও। প্রয়োজনে নেওয়া হবে ড্রোনের সাহায্য।
আজ রবিবার মহালয়া। সূর্যোদয়ের আগে থেকে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবী পক্ষের সূচনায় সর্বত্র শুরু হয়েছে তর্পণ। গঙ্গা তো বটেই, অন্য নদীর ঘাটেও সকাল থেকে শুরু হয়েছে তর্পণ। পিতৃ পুরুষদের তৃপ্ত করতে ভিড় বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে। বালি থেকে শিবপুর হয়ে হাওড়ার প্রতিটি গঙ্গার ঘাটেই পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ শুরু হয়েছে। রয়েছে কড়া নিরাপত্তাও। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশও।
হাওড়ায় গঙ্গার ২০ টির বেশি ঘাটে তর্পণের জন্য ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাট, হাওড়া ময়দানের তেলকল ঘাট, সালকিয়ার বাধাঘাট, ঘুসুড়ির গোসাইঘাট, শিবপুরের শিবপুর ঘাট সহ একাধিক ঘাটে এদিন কয়েকশো জনসমাগম হয়। পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে চলে তর্পণ। হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি ঘাটে যেমন নজরদারি চালানো হয়, তেমনই গঙ্গায় নামানো হয় স্পিডবোট ও নৌকা। পুলিশের পাশাপাশি ঘাটগুলিতে নজরদারি চালায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। বেশ কয়েকটি ঘাটে চলে ড্রোনের নজরদারিও। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চলছে মাইকিংও। তর্পন চলাকালীন গঙ্গার ঘাটে যে কোনও ধরণের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, পুরাণ অনুযায়ী পিতৃপক্ষের সময় পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় তাঁরা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পিণ্ড ও জল গ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করে সন্তানের পাশে থাকেন। এই পক্ষে অন্ন ও জল দিলে পূর্বপুরুষরা শক্তি পান, যার ভিত্তিতে তিনি পরলোকে যাত্রা করতে পারেন ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ করেন।
No comments:
Post a Comment