আলু চাষে কম সময়ে লাভ বেশি হয়। অনেক সময় কৃষকরা আলু চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই আলু চাষ সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য জানা প্রয়োজন।
মাটি:
বেলে বা দোআঁশ মাটিতে আলু সবচেয়ে ভালো জন্মে। আলু চাষের জন্য উচ্চ বা মাঝারি উচ্চতার জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে প্রচুর সূর্যালোক থাকে। জমিতে সেচ ও জল নিষ্কাশনেরও যথাযথ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ জন্য মাটি সমতল করতে হবে।
মাটি বিশুদ্ধকরণ:
মাটি শোধন করলে আলু পতন রোগ প্রতিরোধ করা যায়। যে জমিতে আগের বছর কোনও রোগবালাই ছিল না সেখানে মাটি পরিষ্কার করতে হবে। শেষ চাষের আগে প্রতি বিঘায় ৪ থেকে ৫ কেজি ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে সেচ দিতে হবে।
এভাবে ২৮ থেকে ৩০ দিন জমি ছেড়ে দিতে হয়। এর ফলে জমির মাটি শুদ্ধ হয়, অর্থাৎ মাটির বিশেষ জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায় বা তাদের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়।
চাষের সময়:
আলু রোপণের উপযুক্ত সময় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ পর্যন্ত। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আলু বপন করা গেলেও ফলনও একই অনুপাতে কমে যায়।
সার:
আলু চাষে একর প্রতি ইউরিয়া ১১২ কেজি, টিএসপি ৭৫ কেজি, এমওপি ১১২ কেজি, জিপসাম ৪০ কেজি, জিঙ্ক সালফেট ৫ কেজি এবং বোরন সার ৪ কেজি প্রয়োজন।
অর্ধেক ইউরিয়া, অর্ধেক এমওপি এবং টিএসপির সম্পূর্ণ মিশ্রণ একত্রে মিশিয়ে আলু বপনের পাশে সার খাঁজে বপন করা হয়। অবশিষ্ট সার রোপণের ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে সাময়িকভাবে প্রয়োগ করা উচিৎ।
শেষ চাষের সময় জিপসাম, জিঙ্ক সালফেট ও বোরন সার স্প্রে করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। যেসব জমিতে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে সেসব জমিতে শেষ চাষের সময় ম্যাগনেসিয়াম সার প্রয়োগ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment