শিলিগুড়ি: রাত পোহালেই মহালয়া। আর এই একটা দিন ভোরবেলা বাঙালির ঘরে ঘরে বেজে ওঠে রেডিও। সেই রেডিওতে প্রায় সকলের বাড়ি থেকেই ভেসে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরে চণ্ডীপাঠ। যদিও বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে এই চণ্ডীপাঠের ততটা গ্রহনযোগ্যতা নেই। কিন্তু না চাইলেও তাঁদের কানেও এসে পৌঁছায় সেই চণ্ডীপাঠ। অনেকে আবার মোবাইলেই শুনে নেন চণ্ডীপাঠ। আগে বেশিরভাগ ঘরেই রেডিওতে মহালয়া শোনার চল থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যাটা কমেছে অনেকটাই।
একটা সময় রেডিওর দোকানগুলিতে মহালয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই রেডিও কেনার হিড়িক পড়ে যেত। অনেকে আবার পুরোনো রেডিওটিকে মেরামত করার জন্যও দিয়ে যেতেন। রেডিও মিস্ত্রিদের তখন থাকত রমরমা বাজার। কিন্তু সেদিন এখন আর কোই! বর্তমানে তো মোবাইলেই ভরসা রাখছেন অনেকে।
কিন্তু স্মার্টফোনের যুগেও একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি রেডিও, কারণ বয়স্করা মোবাইলে অভ্যস্ত নন। তারা তাদের সেই রেডিওই চান। মহালয়ার সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনতেই তারা অভ্যস্ত।তাই তাদের আবদার থাকে নতুন রেডিও কিনে দেওয়ার। দু'চারজন তো ইতিমধ্যেই ফেলে দেওয়া রেডিওটি বাবা-ঠাকুরদার আবদারে সাড়াই করতে দিয়েছেন। এই দৃশ্য দেখা গেল শিলিগুড়িতেও।
রেডিও সারাই করতে করতে প্রায় ৭০ বছর বয়সী ভবতোষ সরকার ওরফে অভয় দা বলেন, 'আজকাল আর রেডিও সারাই করে সংসার চলে না।' এই দোকানেরই মালিক সঞ্জয় রায় রেডিও বিক্রি করেন। তাঁর মতে গত দু'বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি কমেছে। তাও ইতিমধ্যেই ৩০ টির মতো রেডিও বিক্রি করেছেন।
তিনি এও জানান, প্রতি বছর রেডিও বিক্রির সংখ্যা কমলেও, বাজার থেকে এখনও চিরতরে হারিয়ে যায়নি রেডিওর চাহিদা।
No comments:
Post a Comment