দু'দিন ধরে মৃতা মায়ের দেহ আগলে বসে মেয়ে। রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়াএবারে হাওড়ার রামরাজতলা এলাকাতে।রবিবার থেকে মৃতা মায়ের দেহ আগলে বসে রয়েছেন মেয়ে। পাশাপাশি মায়ের দেহ সমাধিস্থ করে রাখারও আবদার তার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার জগাছা থানার অন্তর্গত রামরাজাতলার নন্দীপাড়া এলাকাতে। এমনকি মায়ের মৃত্যুর খবর নিজের দাদাকেও না জানিয়ে ওভাবেই দেহ বাড়িতে রেখে দেয় মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম মিনতি কুন্ডু (শোভা)। হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত রামরাজাতলার নন্দীপাড়ার বাসিন্দা। এদিন বিকেলে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে গোটা এলাকাতে।
মৃতার ছেলে জানান, তিনি ২০০০ সাল থেকে এই বাড়িতে থাকেন না। এখানে তার মা ও বোন থাকে। আজক পাড়ার লোকেরা তাঁকে খবর দিলে তিনি এখানে আসেন।
এদিকে মৃতার প্রতিবেশী সীমা দে জানান, আজকে দুপুর তিনটে নাগাদ মৃতা মিনতি দেবীর মেয়ে এসে তাঁকে তার মায়ের মৃত্যুর খবর দেয়। তিনি খাওয়া সেরে গিয়ে দেখেন মিনতি দেবীর দেহ বাড়িতে রয়েছে। দাদাকে খবর দিতে বললেও মেয়ে আপত্তি করে ও তার থেকে একজন মিস্ত্রির খোঁজ চান। মেয়ের জানায়, তিনি তাঁর মাকে বাড়িতে সমাধি দিয়ে রাখতে চায়।
এরপরেই তার দাদাকে খবর দেওয়া হলে তিনি আসেন। বোনকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তিন তার সিদ্ধান্তে অনড়। এরপর জগাছা থানাতে খবর দেওয়ার কথা বলা হয়।
তিনি আরও জানান এভাবে বাড়িতে মৃতদেহ রাখলে দুর্গন্ধ ও বিভিন্ন জীবাণু ছড়ানোর ভয় থাকে, তাই তিনি মৃতার মেয়েকেও বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও মেয়ে রাজি ছিল না বলেই জানান তিনি। তিনি এও জানান, মৃতার মেয়ের যথেষ্টই স্বাভাবিক ছিল। হয়তো একা থাকতো থাকতে তিনিও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।
এরপর মৃতার ছেলে এলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পরামর্শে জগাছা থানাতে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তবে ঘটনা চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাতে। অনেক কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে।
No comments:
Post a Comment