একসময় বাদামের খোসা দিয়ে মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তি গড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন, এবারে মাটি-কাগজ আর খড় দিয়ে ক্ষুদে দুর্গার মূর্তি বানিয়ে চমক দিলেন জলপাইগুড়ির মহামায়া পাড়ার বাসিন্দা সৈকত বারুই। বাড়ির ছেলের এই সৃজনশীল কাজ দেখে খুশি মা-বাবা সহ পরিজন ও প্রতিবেশীরাও।
ছোট থেকেই হস্তশিল্পের দিকে ঝোঁক সৈকত বাড়ুইয়ের। পুজো পুজো গন্ধ এলে, তারও হাত নিশপিশ করতে থাকে নতুন কিছু ভাবনায় মায়ের মূর্তি গড়ার জন্য। বর্তমানে এমএসডব্লিউ নিয়ে ফিল্ড ওয়ার্ক করছেন তিনি। কাজের ফাঁকেই শখপূরণ। এবার মোলডিপ ক্লে, কাগজ ও খড় দিয়ে মায়ের মূর্তি গড়েছেন তিনি।
বিগত দিনে তার ক্ষুদে দুর্গা স্থান পেয়েছিল পুজো মণ্ডপে। তার কাজ প্রশংসা পেয়েছিল বিভিন্ন মহলে। এবার মোউলডিপ ক্লে দিয়ে দুর্গা মূর্তি বানিয়েছেন সৈকত। মায়ের বস্ত্র তৈরি হয়েছে দিস্তা কাগজ দিয়ে।তার ওপর করা হয়েছে রং। মুকুট তৈরি হয়েছে খড় দিয়ে। তাতে রয়েছে ধানও। উপকরণের তালিকায় রয়েছে, আইসক্রিম চামচ, টিস্যু পেপার, কার্ডবোর্ড সহ অন্যান্য সামগ্রীও।
মূর্তি তৈরিতে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দিয়েছেন, এমনটাই দাবী পড়ুয়াশিল্পীর। ১ ফুট লম্বা চালায় দুর্গা মূর্তি ৯ সেন্টিমিটারের। রয়েছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্ত্তিক, মহিষাসুর ও তাদের বাহনরাও।
সৈকত বারুই জানান, 'বাড়ির সকলেই তাকে উৎসাহ দেন এ ধরণের কাজ করতে। পাড়াপড়শিরাও মানসিক শক্তি জোগান।' তিনি আরও বলেন, '২০১৯ সাল থেকে চার বছর ধারাবাহিকভাবে পুজোর আগে এ ধরণের কাজ করে চলেছেন তিনি। বছরের সাথে পাল্টায় উপকরণও। মুহুরিপাড়া সর্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটির মণ্ডপে শোভা পেতে চলেছে তার কাজ।
সৈকতের মা মিলি বারুই বলেন, ছোট থেকেই হাতের কাজের প্রতি আকর্ষণ তার ছেলের। বাড়ির সকলেই তাকে উৎসাহ দেন। প্রতিবছরই ভিন্ন উপকরণ দিয়ে মা দুর্গার মূর্তি বানান তার ছেলে।
No comments:
Post a Comment