শারদীয়া নবরাত্রির নয় দিনের নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। এই ৯ দিনে, মা দুর্গার বিভিন্ন রূপকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে পূজা করা হয় এবং বাড়ির সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হয়। এ বছর শারদীয়া নবরাত্রি শুরু হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর। নবরাত্রির প্রথম দিনে মা শৈলপুত্রীর পূজা করা হয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দিনটি মা ব্রহ্মচারিণীকে উৎসর্গ করা হয় এবং তার পূজাও কিছু নিয়ম-আচার মেনে করা হয়।
মা ব্রহ্মচারিণীর নামে ব্রহ্মা-অর্থ তপস্যা এবং চারিণী অর্থ যিনি পরিচালনা করেন। এইভাবে ব্রহ্মচারিণীকে বোঝানো হয়েছে যিনি তপস্যা করেন। ভগবান শিবকে বিয়ে করার অঙ্গীকারের কারণে তাকে মা ব্রহ্মচারিণী নাম দেওয়া হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, মা জগদম্বার ব্রহ্মচারিণী রূপটি অত্যন্ত শান্ত, কোমল এবং দীপ্তিময়। তার বাহ্যিক রূপ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, মা ব্রহ্মচারিণী তার ডান হাতে জপমালা এবং বাম হাতে একটি কমন্ডল ধারণ করেন।
শারদীয়া নবরাত্রির সময় দেবী ব্রহ্মচারিণীকে অত্যন্ত শাস্ত্রীয় পদ্ধতিতে পূজা করা হয় এবং সর্বদা শুভ সময়ে তার পূজা করলে পুণ্য ফল পাওয়া যায়। মাতা ব্রহ্মচারিণীর আরাধনা করতে, ভোরে উঠে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে পূজা করুন। চৌকিতে মাতার ছবি বা মূর্তি রাখুন এবং তাকে হলুদ বা সাদা কাপড় দিয়ে সাজান। প্রথমে মাকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান, তারপর রোলি, অক্ষত, চন্দন ইত্যাদি নিবেদন করুন।
মা ব্রহ্মচারিণীর পূজায় শুধুমাত্র জবা বা পদ্ম ফুল ব্যবহার করুন। ঘি ও কর্পূরের প্রদীপ জ্বেলে মায়ের আরতি করে দুর্গা সপ্তশতী, দুর্গা চালিসা পাঠ করুন। এটি মা দুর্গার দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে দিব্য রূপ মানা হয়।
মা ব্রহ্মচারিণীকে প্রধানত চিনি নিবেদন করা উচিৎ। এটি করলে ব্যক্তির দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়। এতে করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও সুখ-শান্তি বজায় থাকে এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধির পরিবেশ বজায় থাকে।
No comments:
Post a Comment