সাদ-ঘটমপুর সড়কে ট্রাক্টর ট্রলি উল্টে ২৭ জনের মৃত্যু। গুরুতর আহত হয়েছেন দুই ডজনেরও বেশি। ঘটনাস্থলে এক ডজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হয়। দেহগুলো ঘাটমপুর সিএইচসিতে পাঠানো হয়েছে। আহতদের হ্যালেট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন। গভীর রাতে ঘাটমপুর সিএইচসিতে সমস্ত মৃতদের পোস্টমর্টেম শুরু হয়েছে এবং সকাল ৬টায় দেওধী ঘাটে শেষকৃত্য হয়।
শহরের কোর্থা গ্রামে বসবাসকারী রাজু নিষাদের এক বছরের ছেলের ন্যাড়া করার অনুষ্ঠান ছিল। শনিবার সকাল ১১টায় রাজু ট্রাক্টর ট্রলিতে করে নিষাদ সম্প্রদায়ের ৫০ জনের সঙ্গে উন্নাওয়ের বক্সারের চন্দ্রিকা দেবীর মন্দিরে যান। তাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুও ছিল। মুণ্ডন শেষে বিকেল তিনটে নাগাদ সবাই বাহপাস গ্রামের দিকে রওনা দেয়।
আহত এক মহিলা জানান, গ্রামে ফেরার পথে পথে দেশি মদের কন্ট্রাক্ট ছিল। এখানে ট্রাক্টর থামিয়ে সব পুরুষ মদ পান করে। এরপর রাজু দ্রুত গতিতে ট্রাক্টরটি চালাতে থাকে। মহিলা জানিয়েছেন, তাকে অনেকবার বাধা দেওয়া হলেও রাজি হননি। হরদেব বাবা মন্দিরের কাছে পৌঁছানোর সময় ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের গর্তে পড়ে যায়। এতে বৃষ্টির জল ভর্তি হয়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কমিশনার, ডিএম, এসপি কানপুর আউটার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ গর্ত থেকে মানুষের মরদেহ তুলতে শুরু করে।
ট্যুইট করে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তিনি নিহতদের স্বজনদের প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
ঘটনা নিয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কানপুরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারা সকালে পুলিশ লাইন হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে এবং সরাসরি কোর্থায় যাবে। এ জন্য গভীর রাত থেকেই পুলিশ লাইন হেলিপ্যাড থেকে কোর্থা পর্যন্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আহত রোগীদের অবস্থা জানতে হালতেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
No comments:
Post a Comment