মা-মেয়েকে পিষে দিল অ্যাম্বুলেন্স, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিক্ষুব্ধ জনতার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 15 October 2022

মা-মেয়েকে পিষে দিল অ্যাম্বুলেন্স, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিক্ষুব্ধ জনতার



 রাস্তার ধারে অপেক্ষমাণ মা ও মেয়েকে পিষে দিল অ্যাম্বুলেন্স।  ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।  ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলেও অবরোধ চলে।  ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৬.৩০ মিনিটে উলুবেড়িয়ার জোড়কালায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অর্থাৎ মুম্বাই রোডের পাশে।  মৃতদের নাম অপর্ণা পারাল (৪০) ও টুসু পারাল (১০)।




 প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মা ও মেয়ে রাস্তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।  বৃত্তি পরীক্ষা থাকায় মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন মা।  এসময় অ্যাম্বুলেন্স তাদের দুজনকে পিষে দেয়।  বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধ করে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।  ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভকারীরা তাদের বাধা দেয়।


 

 স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগনানে স্কলারশিপ পরীক্ষা দিতে মা অপর্ণা পারালের সঙ্গে বাস ধরতে ১০ বছর বয়সী টুসু পারাল জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।  এ সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ধাক্কা দেয়।  ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।  এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।  তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে গেছে।  এ ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।  দেহ নিয়ে রাস্তার ধারে অবরোধ চলছে।  বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।



ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ের মৃত্যু হয় বলে জানান এলাকার এক বাসিন্দা।  পরে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে।  তবে এ অঞ্চলে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয় বলে দাবী করেন তিনি।  বারবার একই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসন কর্ণপাত করেনি বলে দাবী তাদের।  বাসিন্দারা বলছেন, মূল সড়কের ঠিক পাশেই আলাদা রাস্তা হওয়া উচিৎ।  আরেকজন বলেন, স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়।  তাদের দাবী, ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট তিনটি বিদ্যালয় রয়েছে।  ফলে ওই সড়ক দিয়ে অনেক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে।  তাদের প্রধান দাবী বাইপাস নির্মাণ করা হোক।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad