মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি সিল্ক শাড়ি দেশ বিদেশে বিখ্যাত। চান্দেরি কাপড় এবং নকশা অনন্য এই শাড়িগুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়। তাই আসুন আজকে জেনে নেওয়া যাক চান্দেরি শাড়ির বিশেষত্ব এবং কীভাবে এই শাড়িগুলোর নাম পড়লো চান্দেরি -
মধ্যপ্রদেশের অশোক নগরে রয়েছে চান্দেরি শহর। বলা হয় বুন্দেলখণ্ড এবং মালওয়া সীমান্তবর্তী এই শহর তাঁতিদের শহর।
মহাভারতেও চান্দেরি শহরের কথা উল্লেখ আছে। বৈদিক যুগে ভগবান কৃষ্ণের পিসির ছেলে শিশুপাল এই শহর আবিষ্কার করেছিলেন। এখানে বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বৈজু বাওরার সমাধি এবং অনেক ঐতিহাসিক ভবন রয়েছে।
আজকাল চান্দেরি কাপড়ে এসেছে অনেক পরিবর্তন। আগে ব্রিটিশরা ম্যানচেস্টার থেকে তুলোর সুতো আসতো। যার কারণে চান্দেরী কাপড়ের টেক্সচারে অনেক বদলে গেছে। ৯৩০ সালের দিকে, কাপড়ে জাপানি সিল্ক এবং তাঁতে তুলো দিয়ে এই শাড়ি তৈরি করা হত। এতে চান্দেরি শাড়ির শক্তি কমে যায়। এ কারণেই এই শাড়িগুলো বেশিক্ষণ ভাঁজ করে রাখলে শাড়ি ছিঁড়ে যেত।
চান্দেরীতে ফ্যাব্রিকের বিশেষত্ব:
চান্দেরিতে ৩ ধরনের কাপড় পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে পিওর সিল্ক, চান্দেরি কটন এবং সিল্ক কটন। ১৮৯০ সালে, তাঁতিরা হাতে তৈরি সুতোর পরিবর্তে মিলের তৈরি সুতো ব্যবহার শুরু করে। ১৯৭০ সালে, তুলো এবং সিল্ক এতে মেশানো হয়। এতে কাপড়টি অনেক শক্ত হয়ে যায়।
ডিজাইন:
চান্দেরিতে নলফার্মা, দান্ডিদার, মাদুর, জঙ্গল ও মেহেন্দির ডিজাইনের শাড়ি বা স্যুট সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত।
No comments:
Post a Comment