আজমীর শরীফের কাছে একটি দোকান রয়েছে যার নাম ভুতিয়া হালওয়াই। এই নামের পিছনে রয়েছে একটি মজাদার গল্প। আসলে বলা হয় ১৯৩৩ সালে নির্মিত ব্রিটিশ আমলে তৈরী হওয়া এই দোকানে ‘ভূত’ মিষ্টি তৈরি করে রাখত। আসুন জেনে নেই এই ভুতুড়ে দোকানের কিছু তথ্য-
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাহ শহর আজমির শরীফ রাজস্থানের একটি আলাদা পরিচয় দেয়। এই দরগায় দেওয়া গোলাপের মিষ্টি সুগন্ধ মানুষকে আকৃষ্ট করে, পাশাপাশি এখানে একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান রয়েছে, যার গন্ধ এবং ইতিহাস মানুষকে একবার এখানে আসতে বাধ্য করে।
সেই আমলে এই দোকানের মালিক ছিলেন মথুরার বাসিন্দা লালজি মুলচাঁদ। সে সময় ব্রিটিশ শাসন ছিল, তাই দোকানপাট ৫টায় বন্ধ হয়ে যেত।
দোকানটির খ্যাতির কারণ ছিল এই দোকানের পেছনে থাকা রেলস্টেশনে সন্ধ্যা হতে না হতেই কেউ আসতো না।তাই এলাকাটি ভুতুড়ে বলা হত।
দোকানের মালিক সে সময়, বাইরে থেকে দোকান বন্ধ করে সারারাত পরিশ্রম করে দোকানের ভেতরে মিষ্টি তৈরি করতেন। এরপর পরদিন সকালে দোকানের বাইরে দেখা যেত নানা রকমের মিষ্টি ও খাবার।
আশেপাশের লোকজন মনে করতো প্রতিদিন ভূত এসে সব মিষ্টি বানিয়ে চলে যায়। এরপর এই মিষ্টির চাহিদা বাড়তে থাকে।
এই ঘটনার পর থেকে লোকজন এই দোকানকে ভুতুড়ে মিষ্টান্ন বলে ডাকতে শুরু করে। এখন এই দোকানটি এতটাই বিখ্যাত যে এখানকার মিষ্টির স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। বিশেষ করে আটার লাড্ডু। এখন এই দোকানটি তার নাতি চালাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment