মুঘল আমলের ইতিহাসে অনেক ভালো দিক থাকলেও রয়েছে অনেক অন্ধকার দিক। এ সময় অনেক ধর্মীয় স্থান ভেঙে ফেলা থেকে শুরু করে, নারীদের ওপরও অনেক অত্যাচার করা হত। নারীদের অপহরণ করে, তাদের ক্রীতদাসী বানিয়ে রাখা হত।
তবে যেসব নারীকে প্রাসাদে দাসী হিসেবে রাখা হতো, তাদের বিনিময়ে বেতন বা কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হতো। কিন্তু এই ক্রীতদাসীদের কত বেতন হত,আসুন জেনে নেওয়া যাক -
JSTOR-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, মুঘল সম্রাট আকবরের দরবারে বেতনের রেকর্ডও রাখা হয়েছিল। কথিত আছে, সে সময় গুরুত্বপূর্ণ দাসীকে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা দেওয়া হতো।
মুঘল আমলে এক কেজি স্বর্ণের দাম ১০০০ টাকা। আর এখন এক কেজি সোনার দাম ৫০ লক্ষের বেশি। অর্থাৎ এই বেতনও সেই সময় অনুযায়ী অনেক বেশি।
রিপোর্ট অনুসারে, মহিলা কর্মীদের মধ্যে গৃহকর্মীকে প্রতি মাসে ৫১ থেকে ৪০০ টাকা দেওয়া হত, যা আজকের হিসাবে ২.৫ লক্ষ টাকা হতে পারে।
আকবরের মনসবদারি ব্যবস্থা ছিল মুঘল আমলে প্রচলিত একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা। সে সময় তিন শ্রেণির মনসবদার ছিল। যে সমস্ত মনসবদার ৫০০ জাতের নীচে পদ পেতেন তাদের কেবলমাত্র মনসবদার বলা হত। যে সমস্ত মনসবদার ৫০০-এর উপরে কিন্তু ২৫০০-এর নীচে বর্ণের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তাঁরা আমির শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment