শীতের শুরুতে এবং শেষের দিকে টার্কি ও অন্যান্য পোল্ট্রি খামারিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এই দুই সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্য থাকে। দেখা যায় দিনে খুব গরম থাকে এবং রাতে হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়ে যায়। এছাড়া শীতের শুরুতে বিভিন্ন শীত-প্রধান দেশ থেকে পরিযায়ী পাখি আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। অনেক সময় তারা তাদের সাথে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ফ্লু জীবাণু বহন করে।
এই বিভিন্ন কারণে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতের শুরুতে এবং শেষের দিকে শীত বেশি হয়।
বিগত বছরগুলোতে অনেক টার্কির খামার শীতের শুরুতে ও শেষে খালি হয়ে যায়। তাই সাবধান হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।
শীতে বিশেষ সতর্কতা:
1. বায়োসিকিউরিটি শক্তিশালী করুন
2. এই সময়ের মধ্যে বাইরে থেকে সব ধরনের পশু কেনা এড়িয়ে চলুন।
3. শেডের চারপাশের জায়গা পরিষ্কার করুন এবং শেডের ভিতরে এবং বাইরে 3:1 অনুপাতে চুন + ব্লিচিং প্রয়োগ করুন।
4. অন্তত প্রতি অন্য দিন একটি বহিরঙ্গন কীটনাশক দিয়ে শেড স্প্রে করুন।
5. লিটার সবসময় শুকনো এবং পরিষ্কার রাখুন।
6. প্রতি 10 বর্গফুটে প্রতি 2 সপ্তাহে 250 গ্রাম হারে চুনের গুঁড়ো মিশিয়ে পর্যায়ক্রমে মেশান।
7. সম্ভব হলে শীতের আগে রানীক্ষেত, মুরগির কলেরা এবং বার্ড ফ্লু ভ্যাকসিন দিন।
8. কোনও প্রাণীকে খামারে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিন।
9. অন্য কাউকে খামারে ঢুকতে দেবেন না।
10. নিজে থেকে বায়োসিকিউরিটি অনুশীলন করুন এবং কৃষি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিন।
11 প্রয়োজন ছাড়া অবিলম্বে ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করবেন না।
12. সপ্তাহে দুবার 1 লিটার জলে 1 গ্রাম হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে মুরগিকে দিন।
13. আপনি 1 চা চামচ রসুনের পেস্ট 1 লিটার জলে মিশিয়ে সপ্তাহে 2 দিন সপ্তাহে একবার খেতে দিতে পারেন।
14. সপ্তাহে 2 দিন 1 লিটার জলে 1 চা চামচ খাঁটি মধু মিলিয়ে খেতে দিতে পারেন।
15. শীতকালে সকালে এবং রাতে জল গরম দেওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment