এই পৃথিবীতে অনেক এমন জিনিস রয়েছে যা বোঝার বাইরে।যেমন- ছত্তিশগড়ের খাপরি গ্রামে বালোদ জেলা সদর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রয়েছে কুকুর দেব মন্দির। এই মন্দিরের কারণেই এই গ্রামটি সারা রাজ্যে বিখ্যাত।
এই ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক মন্দিরটি ১৪ এবং ১৫ শতকের মধ্যে ফণী নাগবংশী শাসকরা নির্মাণ করেছিল বলে জানা যায় । এখানে গর্ভগৃহে জল-নিবাস যোনিপীঠে শিবলিঙ্গ স্থাপিত। এর সঙ্গে স্বামী ভক্ত কুকুরের মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে।
বলা হয় যে অনেক দিন আগে ঋণের টাকা থেকে রেহাই না পেয়ে এক বানজারা তার পোষা কুকুর মহাজনের হাতে তুলে দিয়েছিল। এরপর মহাজনের গয়না টাকা চুরি হয়ে গেলে সেই কুকুরের চালাকিতেই সেগুলো ফেরত পায় মহাজন।
এমতাবস্থায় মহাজন খুব খুশি হলেন এবং কুকুরটিকে তার মালিকের কাছে ফেরত পাঠালেন। এ সময় কুকুরের গলায় একটি স্লিপ লাগান মহাজন ।কুকুরটি বানজারার কাছে পৌঁছানো মাত্রই বানজারা তার কুকুরের উপর প্রচন্ড রেগে যায়। আর কুকুরটিকে মেরে ফেলে সে।
এরপর অনুতপ্ত হয়ে বানজারা তার কুকুরটিকে এই জায়গায় কবর দেন। এই সমাধিস্থলটি স্বামী ভক্ত কুকুরের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল।
সেই থেকে আজ অবধি এই মন্দিরের প্রতি মানুষের অটুট বিশ্বাস রয়েছে। এই সময়ে, লোকেরা বিশ্বাস করে যে এখানে আসা ভক্তরা আন্তরিক চিত্তে যা চান তা অবশ্যই পূরণ হয়।
স্থানীয় লোকজনের মতে, হুপিং কাশি বা কুকুরের কামড়ে মানুষ এখানকার মাটি ব্যবহার করে। এর পাশাপাশি নবরাত্রির সময় লোকেরা এখানে তাদের ইচ্ছা জ্যোতিকলশ জ্বালায়। মহাশিবরাত্রির সময় এখানে বিশেষ পূজো হয়।
No comments:
Post a Comment