পূজার ফুল হিসেবে জবার চাহিদা বেশি। বিভিন্ন পূজায় এই ফুলের কুঁড়ি ও মালার বিশেষ চাহিদা থাকে। এ চাহিদাকে সামনে রেখে অনেকেই এখন জবা ফুল চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। তবে সঠিক পদ্ধতিতে জবা গাছের চাষ না করলে কোনও লাভ হবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই এর পদ্ধতি জানতে হবে যাতে গাছ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং গাছে প্রচুর মুকুলও হয়।
জবা গাছের পরিচর্যার বিশেষ পদ্ধতিঃ
আপনি যদি গাছপালা বাড়াতে চান তাহলে কোনও জৈব পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো। তাই সবসময় জবা গাছে জৈব সার যোগ করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি গাছে প্রচুর ফুল এবং ফল পেতে চান তবে আপনাকে খাদ্য উপাদান হিসাবে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সরবরাহ করতে হবে। আসুন জেনে নিন কিভাবে এমন জৈব সার তৈরি করা যায় যাতে এই সমস্ত উপাদান রয়েছে।
প্রথমে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কলার খোসা নিতে হবে। কিন্তু অনেকেই কলা বাড়িতে নিয়ে আসার পর ফেলে দেন। এখন থেকে এমন ভুল করবেন না। কলার খোসায় রয়েছে পটাশিয়াম। প্রথমে কলার খোসা ছোট ছোট করে কেটে তাতে সরিষা মিশিয়ে নিন। সরিষা পুরো কিন্তু আপনাকে এটি পিষতে হবে। এই সরিষার খোসায় নাইট্রোজেন ও ফসফরাস থাকে। এই দুটি উপাদান ভালভাবে মিশ্রিত করুন এবং কম্পোস্ট যোগ করুন। তবেই এই যৌগিক কম্পোস্ট প্রস্তুত হবে।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি:
যখন গাছটি বড় হয়, আপনার এই সারটি প্রায় প্রতি 20 থেকে 25 দিনে গাছের মূলে প্রয়োগ করা উচিৎ। এই সার প্রয়োগ করার সময় মাটি কিছুটা খনন করতে ভুলবেন না, যাতে এটি গাছগুলিতে আরও ভালভাবে পৌঁছায়।
আপনি জৈব সার তৈরি করতে সমস্ত উপাদান একসাথে মিশিয়ে তরল সার তৈরি করতে পারেন। সে জন্য কলার খোসা ছোট ছোট করে কেটে কিছুক্ষণ জলে মিশিয়ে সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সরিষার বীজের ক্ষেত্রেও একই কথা। অর্থাৎ আপনি জলে সরিষা ভিজিয়ে সেই জল জবা গাছের গোড়ায় তরল সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি উপরের এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করেন তবে আপনার উদ্ভিদ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং প্রচুর ফুল ফুটবে।
No comments:
Post a Comment