গণেশের হাতির মতো মুখ হওয়ার কাহিনী

 

 প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। কিন্তু জানেন কী কীভাবে তার জন্ম হয়েছিল? এর পেছনে রয়েছে বেশ মজার গল্প।

শিব পুরাণ অনুসারে, পার্বতী মা একবার হলুদের পেস্ট দেহে প্রয়োগ করেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে, তিনি এই পেস্ট দিয়ে একটি মূর্তি তৈরি করেন। তার পর সেই মূর্তিটি প্রাণ আসে।  এভাবেই ভগবান গণেশের জন্ম হয়।

তারপর মা পার্বতী গণেশকে তার কক্ষের দরজায় বসিয়ে বললেন, কাউকে ভিতরে ঢুকতে না দিতে। এর কিছুক্ষণ পর মহাদেব আসেন। গণেশ তার পথ আটকালে ক্ষুব্ধ হয়ে ভগবান শিব তার ত্রিশূল দিয়ে গণপতির গলা কেটে দেন।

 মা পার্বতী গণপতির অবস্থা দেখে বিলাপ করতে থাকেন আর খুবই রুষ্ট হয়ে যান। এরপর  ভোলেনাথকে ছেলের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে বলেন।

 তখন ভোলেনাথ বলেন, প্রাণ দেওয়া সম্ভব তবে  মাথা লাগবে।  তখন ভোলেনাথ নারায়ণের বাহন  হে গরুড়কে বললেন,  উত্তর দিকে গিয়ে যে জীব দেখতে পাও তার মাথা নিয়ে এসো।

  গরুড় অনেকক্ষণ খুঁজে শেষ মুহুর্তে একটি মৃত হাতির মাথা পায়, সেই মাথা নিয়ে এলে, ভগবান ভোলেনাথ মাথাটি গণেশের দেহের সঙ্গে সংযুক্ত করে তাঁর প্রাণ ফিরিয়ে দেন।