নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান সম্পর্কিত মামলায় তার সতর্কতা রিপোর্ট দিল্লীর এনসিবি অফিসে পাঠিয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, মামলায় অনেক অনিয়ম হয়েছে। তদন্তে জড়িত আধিকারিকদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মামলায় ৬৫ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে সংস্থাটি। কেউ কেউ তাদের বক্তব্য ৩ থেকে ৪ বার পরিবর্তন করেছেন। এ মামলার তদন্তকালে আরও কয়েকটি মামলার তদন্তেও ত্রুটি পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়। টাকা চাওয়ার তদন্তের লিঙ্ক সংযোগ করা যায়নি।
তদন্তে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সিলেক্টিভ হওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে। এই ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ জন এনসিবি অফিসারের ভূমিকা সন্দেহজনক, যার জন্য বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এনসিবির বাইরে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিনিয়র অফিসারদের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
আরিয়ানকে গত বছর একটি ক্রুজ জাহাজে অভিযানের পর মাদকদ্রব্যের মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) গ্রেপ্তার করেছিল। আরিয়ান খান সহ ছয় প্রধান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল এনসিবি। এই মামলায় আরিয়ান খানকে ক্লিন চিট দিয়েছে এনসিবি। NCB মুম্বাইয়ের আদালতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে, যেখানে আরিয়ান খানের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
মামলার তদন্তে জড়িত সমীর ওয়াংখেড়ে সহ কয়েকজন এনসিবি আধিকারিককে চেন্নাইয়ে বদলি করা হয়েছিল। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) মুম্বাই জোনের প্রাক্তন প্রধান ওয়াংখেড়েকে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স থেকে চেন্নাইয়ের ডিজি টিএস-এ বদলি করা হয়েছে। অন্যান্য এনসিবি অফিসারদের মধ্যে যারা বদলি হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন পি. রাম মোহন এবং টি. রাজশ্রী।
No comments:
Post a Comment