বিধবার সঙ্গে অশালীন আচরণ। বিধবাকে 'চরিত্রহীন' বলে অভিযুক্ত করার পর তার চুল কমিয়ে ব্লেড দিয়ে তার কপালে 420 লেখা হয়। এরপর তাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি মালদহের চাঁচল থানা এলাকার ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্দ্রো বেদে। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ ও প্রশাসনের হুঁশ উড়ে যায়। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বলেন যে পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তবে ঘটনাটি পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রেসকার্ড নিউজ ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি।
নির্যাতিতার স্বামী দেড় বছর আগে মারা গিয়েছিল এবং তারপর থেকে সে তার দুই মেয়েকে নিয়ে কান্দারানে তার শ্বশুর বাড়িতে থাকছিল। গ্রামবাসীর অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে অজ্ঞাত কয়েকজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল।
দেড় বছর আগে স্বামী কুরবান মারা গেছেন। এরপর থেকে কাজলী তার দুই মেয়েকে নিয়ে কান্দারানে তার শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে রাতে বাসা থেকে বের হতেন। তার শাশুড়ি গ্রামবাসীকে খবর দেন। গ্রামে একটি মধ্যস্থতা সভাও হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি সে বাড়ি থেকে বের হলে গ্রামবাসী তাকে ধরে ফেলে। এরপর শুরু হয় নির্যাতন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মধ্যস্থতায় বৈঠকে একের পর এক অভিযোগ করছেন। প্রকাশ্যে তাকে মারধরও করা হয়। এরপর এক ব্যক্তি ওই নারীর পা বেঁধে ধরে ফেলে। অন্য একজন মহিলা তার মাথা কামিয়ে তার কপালে '420' খোদাই করে। তাকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, "একটি ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে।” মালতীপুর বিধানসভার বিধায়ক ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুল রহিম বক্সি বলেন, “আমি জানি না। পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। এটা কাম্য নয়। কেউ দোষী হলে পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”
No comments:
Post a Comment