শীত ঘনিয়ে এলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের ইনফেকশনের আক্রমণ হয়, এই সময়ে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি নয়তো আমরা শুধু সর্দি, কাশি এবং সর্দি-কাশিতে ভুগতে পারি না, অনেকেরই ক্ষতি হবে। পরিবর্তনশীল ঋতুতে হওয়া ঋতুজনিত রোগ থেকে বাঁচতে চাইলে রান্নাঘরে থাকা লবঙ্গ খেতে হবে, এই মশলা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ধরনের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
লবঙ্গে পাওয়া যায় পুষ্টি
: লবঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, থায়ামিন, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, ফাইবার, কপার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন, জিঙ্ক এবং পটাসিয়াম। এছাড়াও, এটিতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের জন্য বিভিন্ন উপায়ে উপকারী।
লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
1. ঠাণ্ডা
ঠাণ্ডা প্রতিরোধে লবঙ্গ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। যার কারণে অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়ে যায়। পরিবর্তিত ঋতুতে এটি অবশ্যই চিবিয়ে খেতে হবে, কারণ এটি আমাদের সর্দি, কাশি এবং সর্দি থেকে রক্ষা করে।
2. হজমের উন্নতি
যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে, তাদের নিয়মিত লবঙ্গ চিবানো উচিত কারণ এটি হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে পারে। আসলে, লবঙ্গ হজমকারী এনজাইমের ক্ষরণ বাড়ায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের ঝুঁকি কমায়।
3.লিভারের জন্য ভালো
লবঙ্গ খাওয়া শরীরে উপস্থিত টক্সিন দূর করে, তাই এটি লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, লিভার আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, এর সুরক্ষার জন্য, আমাদের প্রতিদিন লবঙ্গ চিবানো উচিত।
4. হাড় মজবুত হবে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাড় দুর্বল হতে শুরু করে, এমন পরিস্থিতিতে আমরা নিয়মিত লবঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ, ইউজেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড খুঁজে পাই, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, যা হাড়কে মজবুত করে।
No comments:
Post a Comment