মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অভিযোগ করেন যে বাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ময়ূরভঞ্জ এলাকায় তফসিলি সম্প্রদায়ের লোকদের সরিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। যেমনটা আগে কেরালায় হতো। আজ সুকান্ত মজুমদারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গেছে। এদিকে মোমিনপুরের সহিংসতার বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ বিকেল 3টায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবে।
উল্লেখ্য, রবিবার মোমিনপুর এলাকায় একের পর এক বাইক ভাংচুর করা হয়। ইট-পাথর নিক্ষেপ করা হয়। ইকবালপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা হয়। এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
মোমিনপুরে ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। চিংডিহাটা মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়কে থামানো হয়। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে রাজ্য বিজেপি। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে 144 ধারা না থাকলেও কীভাবে এটি বন্ধ করা যায়? তিনি বলেন, মোমিনপুরে তফসিলি সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা হচ্ছে। সকলেই তৃণমূল কর্মী। থানায় হস্তক্ষেপ করা হয়। পুলিশ ছিল অসহায়। সে চলে যাচ্ছিল। পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে। বাংলাকে বাংলাদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। গ্রাম দখল করতে চায়। যেমনটা ছিল কেরালায়। এদিকে, মোমিনপুর সহিংসতার একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন অমিত মালভিয়া। প্রেসকার্ড নিউজ ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
তিনি বলেন, পুলিশকে 48 ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। আমরা এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সব পক্ষকে বলব। যদিও পুলিশ সুকান্তের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। তাকে চিংডিহাটা থেকে গ্রেফতার করে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে মোমিনপুর ঘটনার বিরোধিতা করে রাজ্যপাল লা গণেশন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, আইনজীবী ও বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল মোমিনপুর মামলায় আদালতের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment