রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মরবিতে একটি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহতও হয়েছেন অনেকেই। তবে, মরবির এমন দুর্ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে ১৯৭৯ সালেও মরবিতে একই ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যাতে প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারান। ১১ আগস্ট ১৯৭৯ সালে মরবিতে মাছু নদীর উপর নির্মিত বাঁধ প্রবল বর্ষণে ভেঙে যায়। তখন কেন্দ্রে ও রাজ্যে জনতা পার্টির সরকার ছিল।
সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই প্যাটেল প্রায় ৬ মাস মরবি থেকে তাঁর মন্ত্রিসভা পরিচালনা করেছিলেন। সেই সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনার পর সেখানে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজেও অংশ নেন তিনি।
টানা তিন দিনের প্রবল বর্ষণে মাছু নদীর উপর নির্মিত বাঁধ ওভার ফ্লো হয়ে ১৯৭৯ সালের ১১ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে ভেঙে যায়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই দুর্ঘটনায় এক হাজার এবং বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সময়, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই প্যাটেল প্রায় ৬ মাসের জন্য তার মন্ত্রিসভা মোবিতে স্থানান্তর করেছিলেন।গুজরাট সরকার এটিকে অ্যাক্ট অফ গড বলে অভিহিত করেছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, তখন প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল।
সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চৌধুরী চরণ সিং। গুজরাটে জনতা পার্টির সরকার ছিল বাবুভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে। এই ট্র্যাজেডির কয়েকদিন পর ১৬ আগস্ট ইন্দিরা গান্ধী মরবি সফর করেন। ইন্দিরা গান্ধী যখন সেখানে পৌঁছান, তখন মরদেহের গন্ধ এতটাই প্রখর ছিল যে, তাঁকে নাকে রুমাল রাখতে হয়েছিল।
ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সে সময় তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে ছিলেন। ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সান্ধুর সঙ্গে এই ঘটনা শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী জানিয়েছিলেন, ১৯৭৯ সালের ১১ আগস্ট তিনি সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে গিয়ে ত্রাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment