'সম্মান লুটে নিলে আর ফিরে আসে না': মমতা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 30 October 2022

'সম্মান লুটে নিলে আর ফিরে আসে না': মমতা


'বিচারের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। সংবাদমাধ্যম বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত বানিয়ে দিচ্ছে', এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতায় 'দ্য বেস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুডিশিয়াল সায়েন্স'-এর আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মমতা একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, 'সম্মান একবার ছিনিয়ে নিলে আর ফিরে আসে না। আমাদের রক্ষা করো।' এদিনের এই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় ইউ ললিতও উপস্থিত ছিলেন। মমতা বলেন, 'গণতান্ত্রিক শক্তি ধ্বংস হচ্ছে এবং দেশ রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে।'


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন সহ বেশ কয়েকজন বিচারপতি। এছাড়াও অডিটোরিয়ামে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা নতুন শিক্ষার্থীদের শুরু। আপনি আজ একজন আইনজীবী, কাল  বিচারকের চেয়ারে বসবেন। আইন জনগণের জন্য হওয়া উচিৎ। মানুষের, মানুষের দ্বারা, মানুষের জন্য হওয়া উচিৎ। বিচার বিভাগ মন্দির ও মসজিদের মতো। ন্যায়বিচার হতে হবে শান্তির জন্য এবং মানুষের স্বাধীনতার জন্য। বিচার বিভাগ হতে হবে জনগণের জন্য। অবস্থা খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। আইনজীবীরা এগিয়ে আসুন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেশা। বিচার ব্যবস্থা মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। অন্যায় থেকে রক্ষা করে। পর্দার আড়ালে ঘটছে অপরাধ। আড়ালে মানুষ কাঁদছে। অনেক কিছু হচ্ছে।"


তিনি বলেন, "বিচার হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমি ভুল হলে আমাকে ক্ষমা করবেন। শুধু চরিত্র লুট করলেই নয়, সম্মান লুট হলে, সম্মান ফিরে আসে না। বিচার বিভাগের জনগণের কাছে আবেদন রয়েছে যে ফেডারেল ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে। কিছু মানুষ জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিস্থিতি তৈরি হবে। গণতন্ত্র রক্ষা করুন।" 


প্রধান বিচারপতির কাজের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ললিতজিকে দুই মাসে দেখা গেছে কাকে বিচার বিভাগ বলে। বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad