মহাত্মা গান্ধীর জীবন একটি বইয়ের মতো। গান্ধীর জীবনযাপনের পদ্ধতি আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে। বাপুর রুটিনও ছিল আশ্চর্যজনক। তাই বৃদ্ধ বয়সে যে বয়সে মানুষ সেবা করতে আগ্রহী, সেই বয়সে গান্ধীজি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের সেবা করতেন। 2 অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর আগে আমরা আপনাকে মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলতে যাচ্ছি, যা আপনি হয়তো জানেন না।
গান্ধীজি কেন ছাগলের দুধ বেছে নিলেন?
মহাত্মা গান্ধী একজন বিশুদ্ধ নিরামিষাশী ছিলেন। তারা দুধকে আমিষভোজীও মনে করত এবং এই কারণে তারা দুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তিনি গরু বা মহিষের পরিবর্তে ছাগলের দুধ পান করা শুরু করেন।
ছাগলের দুধের বৈশিষ্ট্য
ছাগলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট এবং ক্যালরি রয়েছে। এই দুধে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ছাগলের দুধ অনেক রোগে উপকারী।
ছাগলের দুধের উপকারিতা
গরুর দুধের তুলনায় ছাগলের দুধে কম চর্বি থাকে, যা ওজন কমাতে উপকারী। চর্বি কম থাকার কারণে এটি সহজে হজম হয়, যার কারণে দুধের কারণে সৃষ্ট ডিসপেপসিয়ার সমস্যা দূরে থাকে। ছাগলের দুধ মেটাবলিজম উন্নত করে।
ছাগলের দুধে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এটি পান করলে হার্টের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি পান করলে রক্ত পাতলা থাকে। ছাগলের দুধে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে দেয় না।
ছাগলের দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। ছাগলের দুধ পান করলে প্লাটিলেটের সংখ্যাও বেড়ে যায়, যে কারণে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ছাগলের দুধ খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
ছাগলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এতে গরুর দুধের চেয়ে বেশি প্রোটিন রয়েছে। এই দুধ চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।
ছাগলের দুধে অলিগোস্যাকারাইড থাকে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে প্রদাহের সমস্যা থাকলে ছাগলের দুধ খেলে তা দূর করা যায়।
ছাগলের দুধে এমন পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। ছাগলের দুধ পান করলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে।
No comments:
Post a Comment