ভারতীয় সংস্কৃতিতে গহনা পরার প্রথা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। নারী হোক বা পুরুষ, আপনাকে দেখা যাবে সোনা ও রূপার গয়না দুটোই পরতে। বিশেষ করে মহিলারা সোনার গয়না পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি কি কখনও একজন মহিলাকে তার পায়ে সোনার গহনা পরতে দেখেছেন? কখনই সর্বোপরি, মহিলারা তাদের পায়ে সোনার গয়না না পরার কারণ কী? আসুন জেনে নিন পায়ে সোনা না পরার সঠিক কারণ।
কোমরের নিচে সোনা পরা নিষেধ
সনাতন ধর্ম অনুসারে, কোমরের নীচে সোনার গয়না পরা নিষিদ্ধ। এগুলি কেবল কোমরের উপরের অংশে পরা যেতে পারে। এর একটি নয়, দুটি কারণ রয়েছে। পায়ে সোনা না পরার প্রথম কারণ বৈজ্ঞানিক। এই অনুসারে, একজন মানুষের শারীরিক গঠন এমন যে তার শরীরের উপরের অংশে শীতলতা এবং নীচের অংশে কেবল উষ্ণতা প্রয়োজন। যেহেতু সোনার গয়না শরীরে তাপ বাড়ায়। অতএব, এগুলি পায়ে পরলে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এমন অবস্থায় পায়ে সোনার বদলে রুপার গয়না পরা হয়, যাতে শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য বজায় থাকে।
ভগবান বিষ্ণু রেগে যান
অন্যদিকে, পায়ে সোনার গয়না না পরার পিছনে দ্বিতীয় প্রধান কারণ হল ধর্মীয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর কাছে সোনা খুব প্রিয়। এজন্য নাভীর নিচে অর্থাৎ কোমর পর্যন্ত পরিধান করা হারাম। পায়ে শুয়ে গহনা পরলে তা ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর অপমান বলে মনে করা হয়। এতে করে দুজনেই রেগে যেতে পারে। যার ফলে আপনার ঘরের সুখ, শান্তি, ধন-সম্পদ দুটোই চলে যায়।
পায়ে পরলে ধুলাবালি জমে
পায়ে সোনার গহনা না পরার অন্যতম কারণ হল ধুলাবালি ও মাটির সংস্পর্শে এসে এটি নোংরা হয়ে যেতে পারে, যার ফলে এর স্বাভাবিক চকচকে হারানোর আশঙ্কা থাকে। কোমরের উপরে অর্থাৎ ঘাড়, নাক, গলায় পরলে তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। এর পাশাপাশি, কোমরে সোনা পরলে মানুষের মুখের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, পায়ে পরলে এমন কিছু হয় না।
No comments:
Post a Comment