ঝুলন্ত সেতু ভেঙে বিপর্যয়, রবিবার গুজরাটের মরবির এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০-র বেশি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ। মাছু নদীর উপর নির্মিত এই ক্যাবল ব্রিজটি পাঁচ দিন আগে খুলে দেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে, সে সময় সেতুতে ৫০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে ছট উৎসব পালন করছিলেন। এই দুর্ঘটনায় এই পর্যন্ত ১৭০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে বিমান বাহিনীর গরুড় কমান্ডোদের পাঠানো হয়েছে। এর সাথে গুজরাট সরকার হেল্পলাইন নম্বর 02822-243300 জারি করেছে। মরবিতে পৌঁছানোর পরে, স্থানীয় বিধায়ক এবং গুজরাট সরকারের মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা বলেছেন যে, এখনও পর্যন্ত ৮০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের বেশি শিশু রয়েছে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে যে, নৌবাহিনীর ৫০ জন কর্মী নিয়ে এনডিআরএফের ৩ টি স্কোয়াড, বায়ুসেনার ৩০ জন কর্মী নিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীর ২ টি কলাম এবং রাজকোট, জামনগর, দিউ এবং সুরেন্দ্রনগর থেকে উন্নত সরঞ্জাম সহ ফায়ার ব্রিগেডের ৭টি দল মরবির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। SDRF-এর ৩টি স্কোয়াড এবং স্টেট রিজার্ভ পুলিশের ২ টি স্কোয়াডও উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযানের জন্য মরবি পৌঁছেছে।
চিকিৎসার জন্য রাজকোট সিভিল হাসপাতালে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডও করা হয়েছে। এনডিআরএফের ডিআইজি মহসেন শাহিদি জানিয়েছেন, ভাদোদরা বিমানবন্দর থেকে রাজকোট বিমানবন্দরে আরও দুটি এনডিআরএফ দল পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গান্ধীনগর ও ভাদোদরা থেকে তিনটি দল পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি, মরবির কালেক্টর বলেছেন যে, জেলা প্রশাসন মোট ১৭০ জনকে উদ্ধার করেছে। পার্শ্ববর্তী জেলা রাজকোট, সুরেন্দ্রনগর থেকে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। জনগণের ভালো সহযোগিতা রয়েছে।
বলা হচ্ছে, মরবির এই ঝুলন্ত সেতুটি পৌরসভা থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট পায়নি, তবুও সেতুটি চালু করা হয়েছে। অপারেটর সংস্থা ওরেভা গ্রুপের বিরুদ্ধে আরও বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য বেশি টিকিট বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১৭ টাকা এবং শিশুদের জন্য ১২ টাকায় টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শেষ পাওয়া খবরে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
No comments:
Post a Comment