গেস্ট হাউজের রুমে হিডেন ক্যামেরা, পোশাক বদলানোর সময় তাতে শিক্ষার্থীদের নজর পড়তেই শুরু হয় তুমুল হইচই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী জেলার। খবর পেয়ে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করলে তাদেরও হুঁশ উড়ে যায়। মহিলা পুলিশের স্ক্যান করা সিসিটিভির ফুটেজে ধারণ করা ভিডিওটি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং গেস্টহাউসের ম্যানেজার সহ অনেককে আটক করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (এনজিও) প্রায় ২০ জন ছাত্রী কাশী বেড়াতে এসেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার, প্রতিষ্ঠানের সমস্ত শিক্ষার্থী ও তাদের আধিকারিকরা ক্যান্ট স্টেশনের কাছের এক গেস্ট হাউসে ওঠেন। মেয়েরা তাদের ঘরে পোশাক বদল করছিলেন। তখন তাদের চোখ পড়ে সেখানে লাগানো একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ওপর, যা দেখে কার্যত হুঁশ উড়ে যায় সকলের। তখনই শুরু হয় হইচই এবং তারা সংস্থার আধিকারিকদের খবর দেন।
সংস্থার আধিকারিকরা গেস্ট হাউসের ম্যানেজারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি বলেন, ক্যামেরা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সংস্থার সকলেই রেকর্ডিং চেক করার কথা বলেন। এ বিষয়ে গেস্ট হাউসের ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মচারীরা জানান, রেকর্ডিং বন্ধ রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসিপি ও সিগরা থানার পুলিশ। সংস্থার লোকজন তাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেন। থানা পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহিলা পুলিশও। তারা ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেন যে, ছাত্রীদের পোশাক বদলানোর ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে।
সংস্থার লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গেস্ট হাউসের ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ছাত্রীদের অন্য গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভির ডিভিআর বাজেয়াপ্ত করেছে। এসিপি চেতগঞ্জ বিকাশ শ্রীবাস্তবের তরফে বলা হয়েছে, সংস্থার অপারেটরের (এনজিও) দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গেস্টহাউস ম্যানেজার ও অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুই অভিযুক্ত হেফাজতে আছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকার অনেক মানুষও সরব হয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, এলাকায় কিছু হোটেল খোলা হয়েছে, যারা ঘন্টার ভিত্তিতে রুম দেয়। দিনভর সন্দেহজনক নারী-পুরুষের আনাগোনা থাকে। কেউ কেউ জানান, ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা এলাকা ছেড়েছেন। অন্যত্র ভাড়ায় বসবাস করতে বাধ্য হয়েছেন। একইসঙ্গে মামলার তার অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment