দেশের কিছু বিশেষ শহরে দশেরা উপলক্ষে অন্যরকম পরিবেশ রয়েছে। এতে প্রথম নাম আসে মহীশূর শহরের, পর্যটকরা, সারা দেশ-বিদেশের ফটোগ্রাফাররা দশেরা দেখতে এখানে আসেন। মহীশূর দশেরা খুবই জমকালো। দশেরা কর্ণাটকের অন্যান্য উৎসবের চেয়ে বিশেষ। এখানে একে বলা হয় নাধাব্বা। মহীশূরের রাজপরিবারে এই দিনে পূজার পাশাপাশি রাজসভারও আয়োজন করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মহীশূরের রাজপরিবারের দ্বারা দশেরার যাত্রা ১৫ শতকে ওয়াদিয়া রাজা ওডেয়ার শুরু করেছিলেন। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে চামুণ্ডেশ্বরী দেবী মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দশেরা উদযাপনের পদ্ধতিতে জায়গায় জায়গায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু আজও মহীশূরের মতো দশেরার জাঁকজমক আর কোথাও দেখা যায় না। এর রাজকীয় রীতি আজও অব্যাহত রয়েছে।
এই দিনের বিশেষ আকর্ষণ হল রাজদরবার এবং মহীশূর প্রাসাদ থেকে বান্নিমন্ডপ ময়দান পর্যন্ত রাইড। দশেরার প্রথম দিনে রাজকীয় তলোয়ার পূজা করা হয়। হাতি, ঘোড়া, উট এবং নর্তকী সবাই এই দিনে যাত্রায় অংশগ্রহণ করে। পরের দিন একটা জাম্বো রাইড আছে। এই যাত্রার জন্য হাতিদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়,পুরো শহর জুড়ে চামুণ্ডেশ্বরী দেবীর বড় মূর্তি হাতির পিঠে করে ঘোরানো হয়।
কথিত আছে বনীমণ্ডপ মাঠের সেই গাছটি যেখানে পাণ্ডবরা নির্বাসনে যাওয়ার আগে তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন। মহীশূরের দশেরার সময় কুস্তি, যোগব্যায়াম, ট্রেজার হান্ট, পেট শো, ফুড ফেস্টিভ্যাল এবং হেরিটেজ ট্যুরের মতো অনেক ধরনের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। মহীশূরে দশেরা উৎসবে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। এই দিনে শুরু হওয়া বাণিজ্য প্রদর্শনী কয়েক মাস ধরে চলে।
No comments:
Post a Comment