রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের সমস্যা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আটক মানিক ভট্টাচার্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিক্রম নাথের বেঞ্চে। সিবিআই দাবী করেছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মূল হোতা মানিক ভট্টাচার্য। অন্যদিকে মানিকের আইনজীবী বলেন, আমরা আমাদের সম্পদের পূর্ণ বিবরণ আদালতে দিয়েছি। সেক্ষেত্রে ভিন্ন অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণ করতে হবে। বিচারক অনিরুদ্ধ বোস এবং বিক্রম নাথ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় সংরক্ষণ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একটি বিশেষ অন্তর্বর্তী আদেশে বলেছে যে, বিষয়টির সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি এবং ওএমআর শিট পোড়ানো সহ একাধিক অনিয়মের প্রধান অভিযুক্ত। প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার মূল হোতা মানিক। মানিক ভট্টাচার্যের সাথে আরও অনেক অন্যায়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। সিবিআই আদালতকে বলেছে যে, মূল অভিযুক্ত ওএমআর শিট পোড়ায়। সিবিআইয়ের দাবী, ওএমআর শিট পোড়ানোর কারণ ছিল অযোগ্য প্রার্থীদের সুবিধা করা। উল্টো, যোগ্য প্রার্থীদের সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত নিয়ম মেনে তদন্ত করছে সিবিআই।
সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে যত তাড়াতাড়ি হাইকোর্টে মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে। সিবিআই, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি দিতে গিয়ে বলেছে যে, পরীক্ষার আসল প্রশ্নপত্রের বদলে জাল কাগজপত্রও তৈরি করা হয়েছিল। মানিক ভট্টাচার্য যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছেন। এটি একটি বড় কেলেঙ্কারি, যার জন্য মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।
মানিক ভট্টাচার্যকে দুই দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মানিকের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল তার পরিবার এবং তার সমস্ত সম্পদের বিবরণ হাইকোর্টে দিয়েছেন। যা যা চাওয়া হয়েছে, তা জমা দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট মুকুল রোহাতগি বলেছেন যে, তাঁর মক্কেলরা সর্বদা হাজির হয়েছেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবী ভুল।
No comments:
Post a Comment